জামালপুর

টুং টাং শব্দ, শেষ সময়ে ব্যস্ত কর্মকাররা

রাত পোহালেই ঈদুল আজহা। কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে জামালপুরের কর্মকাররা ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এতে টুং-টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে কামারশালাগুলো ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর।

ঈদের নিকটে এসে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কয়েক গুন। ঈদুল আজহায় গরু, ছাগল, মহিষ, উট কোরবানির পশু হিসেবে জবাই করা হয়। ঈদুল আজহার নামাজের পর থেকে থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত কোরবানির পশু জবাই করা হয়ে থাকে। এসব পশুর গোশত কাটতে দা-বটি, ছুরি, ধামা, চাপাতি ইত্যাদি ধাতব ধারালো অস্ত্র অপরিহার্য। যেহেতু কোরবানির পশু কাটা-কাটিতে চাই এসব ধারালো অস্ত্র। তাই তো কামাররা এখন এসব তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

শনিবার (১৬ জুন) দুপুরে জামালপুরে সদরের পৌর শহর ও নান্দিনার পশ্চিম ও পূর্ব বাজার ঘুরে দেখা যায়, কামার দা, বটি, ছুরি, চাপাতিসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কর্মকাররা। কয়লার চুলায় দগদগে আগুনে গরম লোহার পিটাপিটিতে টুং টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে এসব কামারের দোকান। দম ফেলারও যেন সময় নেই তাদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন তারা। কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে কেউ কেউ সন্ধ্যা পর্যন্ত, আবার কেউ গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও এই ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েকগুণ ব্যস্ততা বেড়ে যায় কামারদেরপশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, দা ৪৫০ থেকে ৮০০ টাকা, বঁটি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। তবে কেজি ও লোহার উপরে নির্ভর করে দাম নির্ধারণ করা হয়।

আগে যেসব দোকানে দু’জন করে শ্রমিক কাজ করতেন, এখন সেসব দোকানে ৩-৫ জন করে শ্রমিক কাজ করছেন।

কর্মকাররা বলছেন, লোহার দাম এবং শ্রমিকের মজুরী দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খরচ বেশি নেওয়া হচ্ছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker