মাদারীপুরের শিবচরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ড্রেজিং প্রকল্পের বালু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। তাদের জমির উপর বালু রাখা হয়েছে এমন অজুহাত দেখানোর পরে বেশ কিছুদিন ধরে ভেকু দিয়ে বালু তোলে বিক্রি করছে। শিবচর উপজেলার নিলখী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটেছে। নিলখী ইউনিয়নের বস্তির ঘাট নামক এলাকায় নদীর পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খনন প্রকল্পের বালু রাখা হয়েছে।
এদিকে খনন প্রকল্পের ওই বালু জেলা প্রশাসন থেকে ইজারা নেয়া সেই ব্যক্তিরা বিষয়টি নিয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগও দিয়েছে।অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নিলখী ইউনিয়নের আড়িয়াল খাঁ নদের পশ্চিমপাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী খনন প্রকল্পের বালু তুলে সেই নদীর পাড়ে রাখা হয়েছে। ওই বালু জেলা প্রশাসন থেকে ইজারার মাধ্যমে মো: ওয়াসিম মাতুব্বর নামের এক ব্যক্তির নামে বরাদ্দ দিয়েছে। এদিকে নদী থেকে উত্তোলনকৃত প্রচুর বালু জামাল নামের এক ব্যক্তির জমিতেও গড়িয়ে পড়েছে। নিয়ম অনুযায়ী রয়েছে ফসলি জমিতে বালু থাকলে উক্ত ব্যক্তি জমির ফসলের ক্ষতিপূরণের আর্থিক টাকা পাবেন। এদিকে ইজারাকৃত ব্যক্তি ওই জমির ফসলের ক্ষতিপূরণের টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এর পরেও বেশ কিছুদিন ধরে দিনরাত জমিতে থাকা বালু কেটে সে বিক্রি করে দিচ্ছেন। একই সাথে নদীর পাড়ের মাটিও তিনি অবৈধভাবে কেটে বিক্রি করছে। এতেকরে নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
শনিবার (১৫ জুন) দুপুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের খননের বালু নদীর পাড়েই নির্দিষ্ট জায়গা করে রাখা হয়েছে। কিন্তু বালুর ওই বেড থেকে প্রচুর পরিমাণে বালু পাশের জমিতেও গড়িয়ে পরেছে। ওই জমির বিপুল পরিমাণ বালু ভেকু দিয়ে উঠিয়ে পরে তা বিক্রি করে দিচ্ছেন জমির মালিক। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ফুট বালু বিক্রি করেছেন বলে এমন অভিযোগ করেছেন ইজারা প্রাপ্তরা।
অভিযুক্ত জামাল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, এটাতো আমাদের কাগজের জমি থাকায় যেহেতু তারা অভিযোগ দিয়েছে তাই আমি আমার মামাদের সাথে আলাপ করে বিষয়টি দেখবো। তাছাড়া এ ব্যাপারে আমরা কোন সংঘাত চাইনা।
এ বিষয়ে বালুর ইজারাদার ওয়াসিম মাতুব্বর বলেন, আমি একজন ইজারাদার হিসেবে আমার সরকারি টেন্ডারে পাওয়া বালুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়সহ থানা পুলিশের নিকট আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য একটি অভিযোগ দিয়েছি। তারা অবশ্যই এর ব্যবস্থা নেবেন বলে আমি আশাকরি।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, নিলখী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাছে আমার লিখিত অভিযোগ করেছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।