দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী হাট নান্দিনায় কেনা-বেচা হচ্ছে কুরবানীর পশু
হাজার বছর ধরে কুরবানির পদ্ধতি এক থাকলেও কুরবানির পশু কেনা-বেচার ধরন পাল্টেছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বসেছে পশুর হাট। তেমনি দেড়শ বছরের পুরনো একটি হাট নান্দিনা। যেখানে ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে ৩-৪ কোটি টাকার পশু কেনা-বেচা হয়।
আজ শুক্রবার (১৪ জুন) জামালপুর জেলার দেড়শ’ বছরের পুরনো হাট নান্দিনায় কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাট বসেছে। এই হাটে সারাবছরই পশু কেনা-বেচা হয়। তবে ঈদকে কেন্দ্র করে পশুর হাট বেশ জমজমাট।
নান্দিনা পশুর হাটের ইজারাদার জানান, যুগ যুগ ধরে এই হাটটি মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয়। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে এই হাটে প্রতিদিন তিন থেকে চার কোটি টাকার পশু বিক্রি হয়। ঈদ ছাড়াও প্রতি সপ্তাহের সোম ও শুক্রবার এ হাট বসে। নান্দিনা উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এ হাট থেকে পশু কিনতে মানুষ আসেন।
তিনি আরও জানান, প্রায় দেড়শ’ বছরের পুরানো হাটটিতে বিভিন্ন জাতের গরুসহ মহিষ, ভেড়া, খাসি ও ছাগল ওঠে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার হাটে বেচাকেনা কম বলে জানান তিনি। এবার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষের মধ্যে পশু কেনার আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। ঈদ বাজারকে কেন্দ্র করে সাপ্তাহিক বাজার শুক্রবার ছাড়াও এবার শনি, রবিবার ঈদের গরু কেনা বেচা হবে।
বাজারে আসা ক্রেতারা জানান, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ১ লাখ থেকে দেড় লাখ টাকায় গরু কেনা বেচা বেশি হচ্ছে।বড় গরুর চাহিদা কম।
গরু বিক্রি করতে আসা এক ব্যক্তি জানান, বড় গরুর চাহিদা কম থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না।
ইজারাদাররা আরো জানান, ঈদ ঘনিয়ে আসায় শনি ও রবিবারের বাজার আরো জমজমাট হবে।