কক্সবাজার

ভেসে আসা ট্রলারে ১০ মরদেহ নিয়ে যা বলল পুলিশ

কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের নাজিরারটেক পয়েন্টে ভেসে আসা একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখন পর্যন্ত হত্যার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ। ঘটনা তদন্তে কাজ শুরু করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সোমবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১১টায় এ ঘটনায় কক্সবাজারে পরিদর্শনে গিয়ে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, রোববার দুপুরে কক্সবাজারে একটি ট্রলার থেকে ১০ জনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নামহীন ওই ট্রলারের মালিক মহেশখালীর হোয়ানক ছনখোলাপাড়ার রফিক উল্লাহর ছেলে শামসুল আলম। উদ্ধারকৃত মরদেহগুলোর মধ্যে তার মরদেহও রয়েছে বলে ধারণা করছেন তার স্বজনরা।

Image

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, স্থানীয় ছেলেরা গভীর বঙ্গোপসাগরে ওই ট্রলারটি দেখতে পান। শনিবার (২২ এপ্রিল) ঈদের দিন রাতে জেলেরা ট্রলারটি টেনে নাজিরারটেক পয়েন্টে নিয়ে আসেন। পরে সেখানে এনে রোববার সকালে ট্রলারের ভেতর থেকে গলিত বেশ কয়েকটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে রোববার দুপুরে মরদেহগুলো উদ্ধার করেন পুলিশ।

ডিআইজি মো: আনোয়ার হোসেন জানান, ওই ছেলেরা কীভাবে হত্যার শিকার হয়েছে। তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। মরদেহগুলোর পরিচয় পাওয়া গেছে। মরদেহগুলো পচে বিকৃত হয়ে যাওয়ায় তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে। স্বজনদের ডিএনএ নমুনা নিয়ে ল্যাবে পাঠানো হবে। পুরোপুরি পরিচয় নিশ্চিত হয়ে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

তিনি আরও জানান, সাগরে জেলেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুলিশের নিয়মিত নজরদারি রয়েছে। মহেশখালী ও বাঁশখালীর বহু জলদস্যুকে কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সমুদ্রে যাওয়া জেলেদের জন্য জিপিআরএস পদ্ধতি চালু করা হবে।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker