তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে এরিমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। শুধুমাত্র তুরস্কেই মৃতের সংখ্যা ৪১ হাজার। বিশাল সংখ্যার এসব মৃতদেহের সৎকার নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। দেখা দিয়েছে জায়গার সঙ্কট।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড হয়েছে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তের বিশাল অঞ্চল। হাজার হাজার বাড়িঘর ধসে পড়েছে। গৃহহীন হয়েছে লক্ষাধিক মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা উড়ে গেছেন ভূমিকম্পে বিপর্যস্ত তুরস্ক এবং সিরিয়ায়।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভূমিকম্পের ১২তম দিনেও উদ্ধার হয়েছে জীবিত কয়েকজন। সেই সঙ্গে অসংখ্য মৃতদের দেহও বের করে এনেছেন তারা। এসব মরদেহের সৎকার নিয়েই মহা বিপদে পড়েছে তুরস্কের প্রশাসন। তিল ধারণের জায়গা নেই কবরস্থানগুলোতে।
ফাঁকা জায়গায় কবর দিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। আকিন বজকুর্টজের বয়ানে উঠে এসেছে নিদারুণ এই সঙ্কটের কথা। তিনি তুরস্কের কায়সেরির বাসিন্দা। কাজের জন্য ছুটে এসেছেন কাহরামানমারাসে। এই শহর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয়েছে।
এক প্রকার মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় এই শহর। সেখানে এসে আকিন সাহায্য করেছেন উদ্ধারকাজে। সেখানেই তিনি দেখেছেন মরদেহ দাফনে সমস্যার কথা। আকিন বলেন, স্বজনের মরদেহ দাফন করতে না পেরে অনেক মানুষকেই কাঁদতে দেখেছেন তিনি।
তিনি জানান, ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার হলেই ছুটে আসে স্বজনরা। মরদেহ পেলে তারা কবর দেওয়ার খোঁজ করেন। কিন্তু তাতেও সমস্যা। এতে লাশ কবর দেওয়ার জন্য শহরে নতুন জায়গা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তুরস্কের বাসিন্দাদের বেশিরভাগই মুসলিম। ইসলাম ধর্ম মৃত্যুর পর যত দ্রুত সম্ভব মরদেহ দাফন করার কথা বলা আছে। মৃত্যু মিছিলের ভিড়ে সেই কাজেই বিলম্ব হচ্ছে তুরস্কে। বাধ্য হয়ে অনেক সিরিয়ান শরণার্থীর মরদেহ প্রতিবেশী সিরিয়াতে পাঠিয়ে দিচ্ছে শহরটির প্রশাসন।