আন্তর্জাতিক

সাইবার নিরাপত্তা ও রেলওয়ে নিয়ে কাজ করতে চায় ভারত

ভারত-বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তা এবং দুই দেশের রেলওয়ে ব্যবস্থার আপগ্রেডেশনসহ নতুন ডোমেনে সহযোগিতার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন ভারতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।

তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ আজকের সময়ে ভারতের এই অঞ্চলের বৃহত্তম উন্নয়ন ও বাণিজ্য অংশীদার।

রোববার (১৯ জুন)নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ-ভারতের জয়েন্ট কনসালটেটিভ কমিশনের (জেসিসি) সপ্তম দফার বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

জয়শঙ্কর বলেন, আমরা যৌথভাবে ভ্যাকসিন এবং ওষুধ সরবরাহের ক্ষেত্রে মহামারী কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। এখন নতুন ডোমেনে আমাদের সম্পর্ক নিয়ে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তাসহ রেলওয়ে সিস্টেমের আপগ্রেডেশন নিয়ে কাজ করার অপেক্ষায় আছি ।

অন্যদিকে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। উভয় দেশের উদ্যোগ আমাদের সমগ্র অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন অর্জনে সহায়তা করেছে।

তিনি যোগ করেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্মানের ওপর ভিত্তি করে।

এদিকে এস জয়শঙ্কর এক বিবৃতিতে বলেছেন, জেসিসি’র লক্ষ্য কোভিড-১৯ মহামারী, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং নিরাপত্তা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, সংযোগ, শক্তি, জলসম্পদ, উন্নয়ন অংশীদারিত্ব এবং আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক বিষয়গুলোর সময় সহযোগিতাসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করা।

বৈঠকে ভারত-বাংলাদেশ জেসিসির অষ্টম রাউন্ড ২০২৩ সালে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত বলে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে।

বৈঠকে উভয় পক্ষই সন্তোষ প্রকাশ করেছে যে, কোভিড-১৯ মহামারী থেকে তৈরি সমস্যা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উভয় দেশ নিরাপত্তা ও সীমান্ত ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে পারস্পরিক উপকারী বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রবাহ, পাশাপাশি উন্নত দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক মাল্টিমোডাল পর্যন্ত প্রতিটি খাতে আগের চেয়ে কাছাকাছি এসে কাজ করেছে। সংযোগ, বৃহত্তর শক্তি ও জ্বালানি সহযোগিতা, উন্নয়নমূলক সহায়তা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির বিনিময়, সাংস্কৃতিক এবং জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে ।

দুই মন্ত্রী অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, টেকসই বাণিজ্য, জলবায়ু পরিবর্তন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও গভীর ও জোরদার করতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

তারা মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, দ্রুত এবং টেকসই প্রত্যাবর্তনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করে উভয় মন্ত্রী নেতাদের সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার সকল ক্ষেত্রে পারস্পরিক সম্পৃক্ততাকে আরও গভীর ও জোরদার করার জন্য ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

নয়াদিল্লি সফরের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি এম ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং ভারত সরকারের অন্য গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker