২০২১ সালে বাংলাদেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে উন্নত হয়। বাংলাদেশের মানুষ খুব দ্রুতই সোশ্যাল মিডিয়াতে আসক্ত হয়ে পড়ে। প্রত্যেক দিনের প্রায় অর্ধেক সময়ই মানুষ ব্যয় করে সোশ্যাল মিডিয়াতে।
মানুষ যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ব্যবহার করছে তেমনই কিছু সাইবার ক্রিমিনাল এসব বিভিন্ন তথ্য চুরি করে সাধারণ মানুষকে ব্ল্যাকমেইলসহ বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই।
যেসব মানুষ বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার। ওই সব মানুষকে সাহায্য এবং হয়রানি মুক্ত করার জন্য ব্যতিক্রমই কিছু উদ্যোগ শামিমের। ওনার শুরুর গল্পটা ছিল অনেকটা রোমাঞ্চকর। আমরা জানতে পারি ২০১৬ এর দিকে উনি প্রথম সোশ্যাল মিডিয়াতে আসেন। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে সাইবার ক্রাইম সম্পর্কে অবগত হোন এবং বিভিন্নভাবে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন। তখন থেকেই তার যাত্রা শুরু। সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কীত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নেন এবং কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে অধ্যয়ন করেন। তখন থেকেই তার কার্যক্রম চলমান। তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ এবং আইডি থেকে দেখা যায় প্রত্যেকদিন অনেক মানুষ তার কাছ থেকে বিভিন্নভাবে সহযোগীতা গ্রহণ করে উপকার পাচ্ছে।
হয়তোবা কেউ নিজের ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইলের শিকার, কেউ নিজের ফেসবুক আইডি হারিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন; সব মিলিয়ে সবকিছুর সমাধান করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।
ওনার সঙ্গে কথা বললে আমরা জানতে পারি, প্রতিদিন ৫০ জনের উপরে সাধারণ মানুষকে তিনি বিভিন্নভাবে সহযোগীতা করে থাকেন। তিনি আরো বলেন, আমার টীম এবং আমি নিজেও সব সময় মানুষের সাহায্যের জন্য বদ্ধপরিকর। মানুষকে সাহায্য করাই আমাদের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য। যখন আমি দেখতে পাই একজন মানুষ নিজের আইডি হারিয়ে বা নিজের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিজের অজান্তেই অন্য জনের কাছে দিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে। ওই সময়টাতে তার পাশে দাঁড়ানো টাকেই আমি মহৎ কাজ মনে করি। কারণ বাস্তব জীবনে যদি কেউ হয়রানির শিকার হয় তাহলে সেটা পুরো দুনিয়া ছড়াতে অনেক বেশি সময় লাগবে। কিন্তু যদি কেউ সোশ্যাল মিডিয়াতে হয়রানির শিকার হয় তাহলে অনেক দ্রুত সেটা ছড়িয়ে পড়বে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.