দিনাজপুরের বিরামপুরে বাল্যবিয়ের অপরাধে বরকে তিন মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া মেয়ের অভিভাবককে জরিমানা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাতে বিরামপুর পৌরশহরের চকপাড়া শাহিনপুকুর মহল্লায় অভিযান চালিয়ে বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার এই দণ্ড দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন ঘোড়াঘাট উপজেলার সিংড়া ইউপির মগলিশপুর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে মওলা (১৮)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বিরামপুর পৌর শহরের চকপাড়া (শাহিনপুকুর) মহল্লায় অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। খবর পেয়ে ইউএনও পরিমল কুমার সরকার পুলিশ নিয়ে মেয়েটির বাড়িতে যান ও বিয়ে বন্ধ করে দেন। সে সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে বর-কনে ও বরযাত্রীসহ অনেকে বাড়ির পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কনের অভিভাবকের সঙ্গে কৌশলে কথা হলে বর ও কনেকে সেখানে হাজির করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার বলেন, মওলার সঙ্গে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তুতি চলছিল। বরপক্ষ সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়। কনের বয়স ১৪ বছর ও বরের বয়স ১৮ বছর। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে কনের বাড়িতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বাল্যবিয়ের অপরাধে বর মওলাকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মেয়েকে অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে দেয়ার প্রস্তুতির অপরাধে কনের অভিভাবককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
বিরামপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নওয়াবুর রহমান বলেন, কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মওলাকে শনিবার সকালে দিনাজপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.