টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার পারখী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র লাটি সোঠা নিয়ে হামলা চালিয়ে প্রায় দশজনকে আহত করে। এদের মধ্যে ৫ জনের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক।
মামলার বিবরণ ও সরেজমিনে ঘুরে জানাযায়, উপজেলার পরখী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সিদ্দিকী শরিষাআটা হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও গোরস্থানের সভাপতির দায়িত্ব পালন সময়ে প্রায় দশ লক্ষ টাকার হিসাব না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমান সভাপতি আজিজুর রহমান মাষ্টার জানান, প্রতিবছর শরিষাআটা হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও গোরস্থানের নামে ইজারা নেয়। এতে লভাংশের টাকা দিয়ে দুইটি প্রতিষ্ঠান চলে। কিন্তু অর্থ লোভী রাজ্জাক সিদ্দিকী সভাপতি না হওয়ার কারণে বিল ইজারাটা কৌশলে কয়েকজন ভাগীদার নিয়ে লুৎফর রহমানকে দিয়ে নেয়। এ কারনে বিরোধ আরো বেশী সৃষ্টি হয়। এনিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় ওঠে।
মামলার বাদী বানিজ জানান, গত ২৪ শে ডিসেম্বর তারিখে আমাদের বর্তা বিলে দশ গ্রামের সাধারণ মানুষ বিল বাইচে সবাই মাছ মারতে আসলে বাঁধা নিষেধ দিলে চলে যায়। বানিজ তার বাহাম ভূক্ত লোকজন একত্রে হয়ে দা কুড়াল, লাঠি, চাপাতি, লোহার রড় দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় কয়েকটি বাড়ীতে। তারা আমাদের বাড়ীসহ কয়েকটি বাড়ী ভাংচুর করে ঘরে ডুকে টাকা পয়সা লুট করে । এতে প্রায় দশজন মারাত্মক ভাবে আহত হয় । এদের মধ্যে আব্দুল কদ্দুস (৭৫), নূরুল ইসলাম (৫০), মনির হোসেন (২২), কমলা বেগম (৭০), আবুল কাশেম (৩৫), আনিছ ৪০ অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় টাঙ্গাইল ও কালিহাতি হাসপাতাল ভর্তি হয়।
কালিহাতি থানার ওসি মোল্লা আজিজুল রহমান জানান, মামলা হওয়ার পর একজনকে গ্রেফতার করেছি। তদন্ত চলছে অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিওয়া হবে।
রাজ্জাক সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।