কিশোরগঞ্জে হোসেনপুরে কাঁঠাল গাছগুলোতে শোভা পাচ্ছে কাঁঠাল। সপ্তাহ খানেকের মধ্যে কাঁঠাল পাকতে শুরু করবে পুরোদমে। যেদিকে চোখ যায় শুধু গাছে গাছে কাঁঠাল আর কাঁঠাল। তবে এবার প্রচন্ড খড়ায় আম, জাম, লিচু, কাঠালসহ বিভিন্ন ফলের ফলন কম হয়েছে, গাছ মালিকদের কাছ থেকে জানা যায়।
কাঁঠাল সাধারণত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় রান্নায় ব্যবহৃত হয়। উভয় পাকা এবং অপরিপক্ক ফল খাওয়া হয়। কাঁঠাল হল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার জাতীয় ফল এবং ভারতের কেরালাও তামিলনাড়ুর রাজ্য ফল। নুডলস এবং চিপস জাতীয় ফলের থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন পণ্য এর মত এটিও আন্তর্জাতিকভাবে পাত্রজাত বা হিমায়িত এবং শীতল খাবারগুলিতে পাওয়া যায়।
বুধবার (২২ মে) হোসেনপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সবখানে এখন কাঁঠাল গাছগুলোতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেঁয়ে আছে। কোনো কোনো আগাম জাতের কাঁঠাল পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে। দুই থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এ সময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেণির লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়।
এই উপজেলায় কাঁঠালের বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম হোসেনপুরে, হাজিপুর, সূরাটি, পুমদী, রামপুর, বাচকান্দা, গোবিন্দপুর, জগদল, নিমুখালী ও পিতলগঞ্জ বাজার।
পুমদী ইউনিয়নের সাদ্দাম বলেন, তার ২০টি কাঁঠাল গাছে সমানতালে কাঁঠাল ধরেছে, তবে গতবছর আরও ভালো ফলন ছিলো।
সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর এলাকার শাহিন আলম কাঠাল গাছের পরিচর্যা করতে গাছে উঠতে দেখা যায় তিনি জানান, আমার নিজের ৪২টি কাঁঠাল গাছ আছে। তাতে মোটামুটি ভালো ফলন হয়েছে, তবে গতবছর আরও ভালো ফলন ছিলো।
জিনারী ইউনিয়নের চরকাটিহারী গ্রামের গাছ মালিক কাইয়ুম বলেন, আমাদের অঞ্চলে আত্নীয়দের বাড়িতে আম, কাঠালসহ সব রকম সিজনাল ফল পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে, ৮/১০ দিনের মধ্যেই কাঠাল পাকবে, আত্নীয়দের বাড়ী দেওয়ার পরেও অনেক কাঠাল বিক্রি করতে পারবো, বাজারে দামও ভালো।
এ দিকে এখানকার অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগানভিত্তিক না হলেও বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার দুই ধারে। এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠলের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে। উপজেলার কোথাও কোথাও ভালো ফলনও চোখে পড়ে।
তবে এ এলাকায় কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।