নোয়াখালী

অদিতিকে ধর্ষণের পর হত্যার সন্দেহে যুবক গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যার সন্দেহে পুলিশ সাইদ (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।

নিহত তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪) নোয়াখালী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর মহল্লার মৃত রিয়াজ হোসেনের মেয়ে। তার মা স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় ওই শিক্ষার্থীর নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশের প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রতিবেশী নয়নের ছেলে মো. সাঈদ (২০) প্রায়ই অদিতিকে উত্ত্যক্ত করতো। অনেকবার হুমকিও দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হত্যাকারী একা কিংবা দলবলসহ পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী অদিতিকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে ধর্ষণসহ খুন করে এবং মালামাল লুট করে।

রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মো.শহীদুল ইসলাম বলেছেন, ‘নিহত অদিতির বড় বোন প্রতিবন্ধী। তিনি ঢাকায় পড়াশোনা করেন। নিহতের মা রাজিয়া সুলতানা উপজেলার জয়নাল আবেদীন মেমোরিয়াল একাডেমির শিক্ষিকা। সকাল ৭টার দিকে প্রতিদিনের মতো তিনি স্কুলে চলে যান। আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় এসে দেখেন বাহির থেকে দরজায় তালা লাগানো। পাশের ভাড়াটিয়াগণও প্রতিদিনের মতো দরজা বন্ধ থাকায় কিছু অনুমান করতে পারেনি। পরবর্তীতে নিহতের মা দরজা খুলে মেয়ের খোঁজ করতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি বাসার পেছনের দিকে জানালা দিয়ে দেখেন তার মেয়ে গলাকাটা রক্তাক্ত ও বিবস্ত্র অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছে। পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করেন তিনি। ‘

তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় থানা পুলিশ, ডিবি, পিবিআই, সিআইডি যৌথভাবে কাজ করছে। তাৎক্ষনিক অভিযানে মূল সন্দেহভাজন আসামী মো.সাঈদকে (২০) আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া তদন্তসহ আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker