কক্সবাজার

মহেশখালীতে লাইসেন্স বিহীন করাত কলের দাপট, হুমকির মুখে পরিবেশ জীববৈচিত্র্য

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালার মারছাড়া উত্তর ঝাপুয়াই সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে স”মিলের অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে, কতিপয় স্থানীয় প্রভাবশালী মহল।

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ রাকিবুল হাসান রুবেল, আবু বক্কর, ইসমাইল, মো: আলী গংরা প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তা ও সরকারদলীয় স্থানীয় নেতা পরিচয়ে পরিবেশ ও বন বিভাগের ছাড়পত্র কিংবা লাইসেন্স ছাড়াই বেশিরভাগ করাতকল চালাচ্ছে।

Image

কালার মারছাড়া উত্তর ঝাপুয়াই দীর্ঘদিন ধরে অনুমোদন ছাড়াই চলছে এইসব করাতকল, সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মজুদ করে রাখা হয়েছে লাইসেন্স বিহীন বেশিরভাগ করাতকলের সামনে। ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এসব করাতকলে বিরামহীন চলে কাঠ কাটার কাজ।

জানা গেছে, অবৈধ করাতকলগুলোতে সরকার নির্ধারিত কোনো আইন ও নীতিমালা মানার কোনো বালাই নেই। স”মিলের মালিক, রাকিবুল হাসান রুবেল, আবু বক্কর, ইসমাইল, মো: আলী, গংরা, এই অসাধু ব্যক্তিদের, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়ে থাকে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার লাইসেন্স করতে বলা হলেও প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে ওরা দেদারসে চালাচ্ছে অবৈধ করাত কল।

Image

কালারমারছাড়ার ইউনিয়নের বিভিন্ন পাহাড় থেকে শুরু করে সমতল ভূমিতে লাগানো সব ধরনের গাছ কেটে অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে, করাতকলের ব্যবসায়ীরা। এতে করে হুমকির মুখে পড়ছে এলাকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য। কমছে অক্সিজেনের ভারসাম্য। এসব কারণে দ্রুত এ সকল অবৈধ করাতকল বন্ধের দাবি জানিয়েছে স্থানীয় সচেতন মহল।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দূর্বল নজরধারীর কারনে করাতকল স্থাপন করে কাঠের অবৈধ ব্যবসা করে যাচ্ছে।

Image

মহেশখালী বিভিন্ন ইউনিয়নের বন বিভাগের অধিকাংশ গ্রামে গড়ে উঠেছে বেশ কিছু করাতকল। এসব মিলে নির্বিচারে কাটা হচ্ছে বন বিভাগের পাহাড়ি গাছ, করাতকলের তথ্যের জন্য উপজেলা বন কর্মকর্তা এনামুল হকের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, খুব শিঘ্রই মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীকি মারমার সঙ্গে কথা বলে এই সব অবৈধ করাত কল উচ্ছেদ অভিযানে যাবেন।

Author

মোহাম্মদ ইসমাইল (ইমন), স্টাফ রিপোর্টার

পেশায় একজন সাংবাদিক। তিনি ৩০ মে থেকে মিশন ৯০ নিউজে চট্টগ্রাম বিভাগীয় এলাকায় স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে, সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker