দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই চলছিল এক অটো চালকের সংসার। সারাদিন যা আয় হতো তা দিয়েই সুখে শান্তিতে বাস করছিলো পরিবারটি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটিকে যখন গলা কেটে হত্যা করা হয়। তখন তাদের জীবনে নেমে আসে ঘোর অন্ধকার। পরিবারটি হয়ে পড়ে নিঃস্ব। বলছিলাম টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইলের পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক অসহায় পরিবারের কথা। এখন এক বেলা খেয়ে না খেয়ে, খুব কষ্টের ভিতরে জীবন অতিবাহিত করছে তারা। এমন তথ্য আসে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটি সংগঠনের কাছে। তথ্য আসার পর বিষয়টি মানবিক দিক থেকে বিচার করে অসহায় পরিবারটির মুখে সামান্য হলেও হাসি ফোটাতে বাজার সামগ্রী ঈদ সামগ্রী নিয়ে ও নগদ টাকা দিয়ে পাশে দাঁড়ায় সংগঠনের সদস্যরা।
হত্যা হওয়া ভ্যানচালকের স্ত্রী আমাদের জানান, আমাদের অবস্থা সম্পর্কে জেনে ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটি সংগঠন আমাদের জন্য বাজার করে নিয়ে আসে এবং নগদ টাকা প্রদান করে। তিনি আরো বলেন, আমার স্বামী অটো চালক ছিল। তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়। আমার স্বামী হত্যা হওয়ার পর থেকে দুইটি মেয়েকে নিয়ে খুব কষ্টের ভিতর দিয়ে দিন কাটাচ্ছি। সকলের প্রতি আমার একটা অনুরোধ থাকবে আমাকে যদি কেউ একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন তাহলে বাকী জীবনটুকু হয়তো দু’মুঠো খেয়ে দুটি মেয়েকে নিয়ে বাঁচতে পারব।
উক্ত মানবিক কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন, ব্লাড ফাইটার ফর হিউম্যানিটি সংগঠনের উপদেষ্টা রাজিবুল ইসলাম রিপন পরিচালক আসাদুল ইসলাম আসাদ, সভাপতি আকলিমা আফরোজ আখি, সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসাইন, অর্থ সম্পাদক হারুন মল্লিক নীল। আরো উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের ভলান্টিয়ার ও শুভাকাঙ্ক্ষী হাবিবুর রহমান শাহ আলম, রুবেল মিয়াসহ আরো অনেকেই।
তাদের এই মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে সংগঠনের উপদেষ্টা রাজিবুল ইসলাম রিপনের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের জানান, “মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য” স্লোগানকে বুকে ধারণ করে কাজ করে যাচ্ছি। এই অসহায় পরিবারটির কথা আমরা জানতে পারলে বাজার ও ঈদ সামগ্রী নিয়ে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর সামান্য চেষ্টা করি। আমি সমাজের বিত্তবানদের বলব মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পরিবারটির পাশে দাঁড়ান। তাদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিন।