সারাদেশ

রিমাল কাড়ল সুন্দরবনের ৯৬ হরিণের প্রাণ

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনে মৃত আরো ৪৫টি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সুন্দরবনের কটকা ও কচিখালীসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত ওই হরিণ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে তিন দিনে সুন্দরবন থেকে মৃত অবস্থায় ৯৬টি হরিণ এবং দু’টি বন্য শূকর উদ্ধার করে বন বিভাগ। ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, বৃহস্পতিবার সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি করে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫টি হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে বুধবার ১২টি এবং মঙ্গলবার ৩৯টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে তিনদিনে সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হলো। এছাড়া জলোচ্ছাসে ভেসে যাওয়ার সময় বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৮টি জীবিত হরিণ, চারটি বন্য শূকর এবং একটি অজগর উদ্ধার করা হয়।

মিহির কুমার দো আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের মধ্যে দিয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। পানির কারণে বন্যপ্রাণী দিকবিদিক ছুটাছুটি করে। জলোচ্ছাসে ওই হরিণগুলোর মৃত্যু হয়েছে।

প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে বন কর্মকর্তারা কাজ করছে।

তিনদিনে বন থেকে ৯৬টি মৃত হরিণ উদ্ধার করা হয়েছে। বনের কোথাও আর কোন বন্যপ্রাণী মরে পড়ে আছে কি না তা ঘুরে দেখছে বন বিভাগের সদস্যরা। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে।

উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় রিমাল রবিবার প্রথমে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে আঘাত হানে। এর পর দীর্ঘ সময় ধরে রিমাল উপকূল অতিক্রম করে।

রিমালের প্রভাবে রবিবার দুপুর ও রাত এবং সোমবার দুপুরের নদ-নদীতে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হয়। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে সুন্দরবনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Author

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker