কক্সবাজার সদরে বোনকে বখাটেদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে বেধড়ক মারধরের শিকার হয়েছেন ভাই। ঘটনাটি ১২ দিন আগে ঘটলেও শনিবার (১১ জুন) রাতে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মারধরের শিকার আবদুল মোনাফ (২১) মুঠোফোনে একাত্তরকে জানান, গত ৩১ মে মামার বাড়ি থেকে নিজেদের বাড়ি যাওয়ার সময় কক্সবাজার সদরের খুরুস্কুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেড়িবাঁধের কাছে তার সাথে থাকা বোনকে (১৭) কয়েকজন বখাটে পেছন থেকে ইভটিজিং করতে শুরু করে।
কোন সাড়াশব্দ না করে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলেন মোনাফ ও তার বোন। তারপরও বখাটেরা তাদের পিছু নিয়ে অশ্লীল আচরণ করতে থাকে। একসময় বখাটেরা তার বোনের হাত ধরে টান দেয়।
এসময় বখাটে জামাল ও রায়হানকে এমন আচরণ না করতে অনুরোধ করেন মোনাফ। কিন্তু তারা কথা না শুনলে মোনাফ কড়া ভাষায় এর প্রতিবাদ করেন।
এক পর্যায়ে মোনাফের বোনকে বখাটেরা টানাটানি করা শুরু করলে মোনাফ বোনকে আগলে ধরেন।
এতে জামাল ও রায়হানসহ আরও কয়েকজন মেয়েটিকে ছিনিয়ে নিয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত ও মারধরের চেষ্টা করে। মোনাফ নির্যাতন থেকে বাঁচাতে বোনকে নিজের শরীর দিয়ে আগলে রাখেন। এরপর বখাটেরা মোনাফকে বেধড়ক মারধর করে।
ঘটনাটি শুরুর দিকটা প্রকাশ্যে না এলেও সেই মারধরের ভিডিওটি শনিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওটিতে স্পষ্ট দেখা যায়, বোনকে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচাতে ভাই মোনাফ নিজের শরীর দিয়ে তাকে আগলে রাখছিলেন। পরে মোনাফ আঘাতে অজ্ঞান হয়ে গেলে বোন চিৎকার করে সাহায্য চান আশপাশের লোকজনের কাছে।
মোনাফ জানান, ঘটনার পরপর তিনি হাসপাতালে যান। সেখান থেকে থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন তিনি।
তবে অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-অপারেশন) নাছির উদ্দিন মজুমদার। তার দাবি, তারা এমন ঘটনার কোন অভিযোগ পাননি।
শনিবার যখন ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে পুলিশ অভিযুক্তদের ধরতে মাঠে কাজ করছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.