Uncategorized

অধিনস্থ শ্রমিকদের বাড়ী বেড়ানো শেষে চলে গেলেন সৌদি নাগরিক।

মাহফুজ রাজা,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

তিনদিন কর্মচারীদের বাড়ী বেড়ানো শেষে দেশে ফিরে গেলেন সৌদি নাগরিক সামিম আহমেদ হলিবি ও তার ছেলে আব্দুল লিল হলিবি।শুক্রবার(২৪ নভেম্বর) ২:৩০ মিনিটে বাংলাদেশি  একটি ফ্লাইটে করে সৌদির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেণ।

Image

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার সাহেবেরচর গ্রামের তিন সহোদর খাইরুল ইসলাম,আব্দুল হামিদ, ও সারোয়ার হোসেন সাহিদ চাকরি করেন সৌদি আরবের দাম্মাম আল হাসার খালেদিয়া এলাকায়  আহমেদ হলিবির অধিনে।তিন জনই উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের সাহেবের চর(নয়াপাড়া) গ্রামের মৃত.চান মিয়ার ছেলে। 

দীর্ঘদিন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুবাদে কপিল(মালিক)সামিম আহমেদ হলিবির সঙ্গে একটা সখ্যতা গড়ে উঠে তাদের। অর্জন করেছেন সৌদি মালিকের আস্থা ও ভালবাসা।সন্তানের ন্যায় যত্ন করেন তাদের।তাইতো সেই সম্পর্কের টানে বাংলার সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সম্পর্কে জানার আগ্রহ নিয়ে কর্মচারীদের বাড়ী ছুটে এসেছিলেন বাংলাদেশে। বাংলাদেশের আথিতেয়তায় মুগ্ধ হোন সৌদি মালিক ও তার ছেলে।

গত সোমবার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সৌদি আরবের একটি ফ্লাইটে করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ভোর ৪ টায়।

Image

পরে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) 

 সকালে সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে উপজেলার পৌর এলাকার  ঢেকিয়া খেলার  মাঠে এসে নামেন তারা সকাল ১০ টায়। সেখানে সৌদি মালিক ও তার ছেলেকে দেখতে ভিড় করেন উৎসুক জনতা। ফুলের মালা দিয়ে অভিনন্দন জানান গ্রামবাসী।

জানা যায়,টানা তিন দিন থেকে ঘুরে ঘুরে দেখেন শহর-গ্রামের আনাচে-কানাচে,এছাড়াও বৃহস্পতিবার ঢাকাস্থ বসুন্ধরা মার্কেটে ঘুরাফেরা ও কেনাকাটা করেন। এ দেশের মানুষের নির্মলতা,সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, খাবারের স্বাদ ও প্রাকৃতিক দৃশপট বিমোহিত করেছে তাদের।আহমেদ হলিবি কাছ থেকে শুনে ও বিভিন্ন গনমাধ্যমে দেখে বাংলাদেশে আসতে চান তারই ভাই ড.আব্দুল লতিফ হলিবি বিষয়টি নিশ্চিত করেন খাইরুল ও হামিদের ছোট ভাই সৌদি প্রবাসি সাহিদ।

বাংলাদেশে এসে কেমন কাটলো সময় এমন প্রশ্নে সামিম আহমেদ হলিবি বলেন, আমার খুবই ভালো লেগেছে। বাংলাদেশে আসতে পেরে আমি সবচেয়ে খুশি।এ দেশের মানুষের আথিতেয়তা কখনো ভুলতে পারবনা খাইরুল,হামিদ,সাহিদ শুধু আমার কর্মচারী না আমার সন্তানের মতো।তাদের যত্নে তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা বুহুগুন বেড়ে গেল।

আব্দুল হামিদ বলেন,মালিককে বরণ করার প্রস্তুতি নিতে আমি এক সপ্তাহ আগে থেকেই বাংলাদেশে আসি, আমার বড় ভাই খাইরুল মালিক ও তার ছেলের সাথে একই ফ্লাইটে আসেন ছোট ভাই সাহিদ সৌদিতেই আছেন।এই কয়দিন বেড়ানো শেষে মালিক ও তার ছেলে চলে গেলেন আমরা তাদের এয়ারপোর্টে দিয়ে আসছি।তাদের জন্য খারাপ লাগতেছে।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker