মাহফুজ হাসান,কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
বিস্তৃত জলরাশীর মাঝখানে একটি তিনতলা ভবন। বহুদূর পর্যন্ত আশপাশে নেই কোনো ঘরবাড়ি বা গ্রাম। দেখতে অনেকটা আশ্রয় শিবির মনে হলেও আসলে এটি বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টির চারিদিকে থৈ-থৈ পানি আর পানি। দুর থেকে দেখলে মনে হয় সমুদ্রের মধ্যে ভেসে আসছে একটি দুইতলা জাহাজ। কাছে না গিয়ে কেউ বুঝতে পারবে না এটি একটি বিদ্যালয়। এর চারিদিকে নেই কোন রাস্তা-ঘাট। যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম হলো নৌকা। আর এখানেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকা যোগে প্রতিদিন শিক্ষার্থীরা আসছে বিদ্যালয়ে। এ যেন ঢেউ এর ছন্দে পড়াশোনা। পড়াশোনা করে জাতি ঘটনে সহায়ক ভূমিকা রাখার স্বদিচ্ছা থাকলে প্রতিকূল পরিবেশেও বিদ্যা অর্জন সম্ভব, এমন স্কুল তার জ্বলন্ত স্বাক্ষী।
হাওর বেষ্টিত বাহেরবালি, পুড়াকান্দা, আয়নারগোপ, শিবপুর ও বোয়ালী গ্রামের তিন শতাধিক ছেলেমেয়ে এখানে পড়াশোনা করছে। এখানে নিয়মিতই চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাজিরাও অন্য যে কোনো বিদ্যালয়ের চেয়ে বেশি। এটি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার মাইজচর ইউনিয়নের বাহেরবালী এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়। বছরের ৯ মাস এ বিদ্যালয়ের চারপাশে জমে থাকে পানি। এভাবেই এই হাওর বেষ্টিত এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে বিদ্যালয়টি। ভবনটি দেখতেও দৃষ্টিনন্দন।স্কুলের ভেতর থেকে বাহিরে দৃষ্টি নিক্ষেপ করতেই চোখে ভেসে উঠে সুবিশাল জলাশয়ে মৃদু তরঙ্গের মন ভোলানো নৃত্য। সূত্রমতে জানি,সেকেন্ডারি এডুকেশন সেক্টর ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এসইএসডিপি) আওতায় অনগ্রসর হাওরবাসীর জন্য ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাহেরবালী এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়টি।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.