শনিবার (১ জুন) ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এটি রিয়ালের রেকর্ড ১৫তম শিরোপা। এই ফাইনাল জিতে ইতিহাসের পাতায় নাম লিখিয়েছেন রিয়ালের দুই কিংবদন্তি টনি ক্রুস ও লুকা মদ্রিচ। রিয়ালেরই কিংবদন্তি পাকো গেন্তোর সঙ্গে তারা দুজনও এখন সর্বোচ্চ চ্যাম্পিয়ন্স লিগজয়ী খেলোয়াড়। তিনজনই জিতেছেন ছয়টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা। রিয়ালের হয়ে ছয়টি করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন অধিনায়ক নাচো ফার্নান্দেজ ও দানি কার্ভাহালও।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে প্রথমার্ধে রিয়াল মাদ্রিদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তাদের একের পর এক আক্রমণের তোড়ে ভেসে যাওয়ার অবস্থা মাদ্রিদের। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন রূপে হাজির আনচেলত্তির দল। ১০ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে ইউরোপ সেরার মুকুট পুনরুদ্ধার করল রেকর্ড চ্যাম্পিয়নরা। ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম বার চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জয় করল লস ব্লাঙ্কোসরা।
পরিসংখ্যান বলছে রিয়েল মাদ্রিদ এবং বরুসিয়া ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। যার মধ্যে রিয়েল জিতেছে ৬ বার এবং জার্মান ক্লাবটি জেতে ৩ বার। বাকি ৫ বার ম্যাচ ড্র হয়েছে। তবে ফাইনাল ম্যাচে পরিসংখ্যান কোনো কাজে লাগে না সেটা সকলেই জানেন। স্নায়ুর চাপ যে দল ধরে রাখতে পারবে সেই দলই চ্যাম্পিয়ন হবে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অন্যতম সেরা ক্লাব হলো রিয়েল মাদ্রিদ। কারণ তারা এখনও পর্যন্ত ১৪টি মরসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছে (১৯৫৬, ১৯৫৭, ১৯৫৮, ১৯৫৯, ১৯৬০, ১৯৬৬, ১৯৯৮, ২০০০, ২০০২, ২০১৪, ২০১৬, ২০১৭, ২০১৮ এবং ২০২২)। এবার জিতে ১৫তম খেতাব হয়ে গেল
অন্যদিকে ১৯৯৭ সালে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ২০১৩ সালে ফাইনালে উঠেও স্বদেশী ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। তাই ফের একবার খেতাব জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করার দৌড়ে ছিল বরুসিয়া ।
একই দিনে রিয়েল মাদ্রিদ সমর্থকরা হাসলো এবং কাঁদলো হাসিটা ছিল ১৫তম শিরোপা জয়ের আর কান্নাটা ছিল টনি ক্রুসের বিদায়ের।