উরুগুয়ের কাছে হেরে কোপা পর্ব শেষ হয়েছে ব্রাজিলের। তবে ব্রাজিল সমর্থকদের বেশি হতাশ করেছে সেলেসাওদের খেলার ধরন। খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে কোচ দরিভাল জুনিয়রও। তবে ব্রাজিল কোচ মনে করেন ঘুরে দাঁড়াতে সময় প্রয়োজন তাদের।
নেভাদার অ্যালিজেন্ট স্টেডিয়ামে দুই দলের লড়াইয়ে উত্তেজনার পারদ ছিল শীর্ষে। মাঠের খেলার চেয়ে শরীর নির্ভর খেলাতেই দাপট দেখিয়েছে বেশি। তাতে ছিল তুমুল ঝাঁজ! ফলে গোলমুখে বুদ্ধিদীপ্ত সেই লড়াইয়ের ঝলকটা দেখা যায়নি।
দুই দল মিলে ৪১টি ফাউলের ঘটনা ঘটিয়েছে। যা টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চও! ব্রাজিল বল দখলে এগিয়ে থাকলেও সবচেয়ে সুবর্ণ সুযোগটি মিস করেছেন উরুগুয়ের ডারউইন নুনেজ। ক্লোজ রেঞ্জে থেকে হেড মিস করেছেন। তাছাড়া প্রথমার্ধের শেষ দিকে সুবর্ণ সুযোগ মিস করেছে ব্রাজিলও। প্রতি আক্রমণে রাফিনহা দৌড়ে বক্সের কাছে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু উরুগুয়ের গোলকিপার কাছে এসে রুখে দেন তার শট।
দুই দল সুযোগ তৈরি করতে পারলেও জাল কাঁপাতে পারেনি কোনও দল। তবে ৩২ মিনিটে বড় ধাক্কা খায় উরুগুয়ে। ইনজুরি আক্রান্ত হন দলটির সেন্টার ব্যাক রোনাল্ড আরাউহো। ভীষণ ব্যথা নিয়ে ৩৪ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠ ছেড়ে যান তিনি।
৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় উরুগুয়ে। রদ্রিগোর ওপর কড়া চ্যালেঞ্জের মাশুল দিতে হয় নান্দেসকে। রেফারি শুরুতে তাকে হলুদ কার্ড দেখিয়েছিলেন। কিন্তু ভার রিভিউর পর বদলে যায় সিদ্ধান্ত। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন তিনি। সেই সুযোগটিও ব্রাজিল কাজে লাগাতে পারেনি। তাতে স্কোর গোলশূন্য থাকায় ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে।
কোপা আমেরিকায় তরুণদের উপর ভরসা করেছিলো ব্রাজিল কোচ। ইনজুরির কারনে ছিলেন না নেইমার। বাদ দিয়েছিলেন থিয়াগো সিলভা, কাসেমিরোর মতন অভিজ্ঞদেরও। গ্যাব্রিয়েল জেসুস, রিচার্লিসনদের মতন তারকাদেরও স্কোয়াডে রাখেননি দরিভাল। সব মিলিয়ে বড় এক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ব্রাজিল।
উরুগুয়ের কাছে এবার দলের পরিবর্তনকে অজুহাত হিসেবে নিলেন ব্রাজিল কোচ, ‘এই দল সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমি কেবল ৮ ম্যাচ কোচিং করালাম। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। পথচলায় বাধা আসবে। তবে আমি মনে করি আমরা শিরোপা জিততে পারব। তার জন্য আমাদের সময়ের প্রয়োজন।’
কোপা আমেরিকায় ব্যর্থ হওয়ার পর কোচের চোখ এখন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে। আপাতত সে জায়গায় নজর দিতে চান তিনি, ‘ কোপা আমেরিকা ছিল আমার প্রথম অফিসিয়াল টুর্নামেন্ট,নক আউট ম্যাচে আমরা হেরেছি, যা প্রত্যাশিত ছিলো না।
আমাদের অনেক উন্নতির জায়গা আছে। আপাতত মূল লক্ষ্য বিশ্বকাপে জায়গা করে নেওয়া। এখন পয়েন্ট তালিকায় ছয়ে আছি, যা নিয়ে একদমই স্বস্তিতে নেই আমরা।’
এই ম্যাচে নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি দলের সবচেয়ে বড় তারকা ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তার বদলি হিসেবে ছিলেন তরুণ স্ট্রাইকার এনদ্রিক। তবে তার পারফরম্যান্স হতাশ করেছে সমর্থকদের।