ক্রিকেটখেলাধুলা

বাংলাদেশ দলে জয়ের সুবাস

এশিয়া কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের সুবাস পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আফগানদের ৬টি উইকেটের পতন হয়েছে। ৪০ ওভারে তাদের সংগ্রহ ২১২ রান। জয়ের জন্য শেষ ১০ ওভারে করতে হবে আরও ১২৩ রান।

পাহাড়সম রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দলীয় ১ রানে শরীফুল ইসলামের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১)। এরপরই অপর ওপেনার ইব্রাহিম জারদান এবং রহমত শাহ মিলে পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন। মরা উইকেটেও বাংলাদেশি বোলাররা দারুণ বোলিং করছিলেন।
 
সেটা সামলে দুজনে গড়েন ৭৮ রানের জুটি। ১৮তম ওভারে রহমত শাহকে (৩৩) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ।

এরপর ৫১ বলে ফিফটি তুলে নেন ইব্রাহিম। ২৩.৩ ওভারে আফগানদের স্কোর তিন অংক স্পর্শ করে।

ক্রমেই ভয়ংকর হয়ে উঠছিলেন ইব্রাহিম জারদান। শেষ পর্যন্ত তাকে ৭৫ রানে মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করেন হাসান মাহমুদ। অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। আফগান ওপেনারের ৭৪ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার এবং ১টি ছক্কার মার। এর সাথেই অবসান হয় ৫৮ বলে ৫২ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহিদী।

৫৪ বলে ফিফটি পূরণ করে শরীফুল ইসলামের শিকার হয়েছেন ৫ বাউন্ডারিসহ ৫১ রানে। আগের ওভারেই নজিবুল্লাহ জারদানকে দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন মেহেদি মিরাজ। ভাঙে ৫২ বলে ৬২ রানের ঝড়ো এক জুটি। ১৯৬ রানে আফগানদের পাঁচ উইকেটের পতন হয়। স্কোরবোর্ডে আর ১৬ রান যোগ হতেই ১৩ বলে ১৫ রান করা গুলবাদিন নাইবের স্টাম্প ছত্রখান করে দেন শরীফুল ইসলাম। ম্যাচ পুরোপুরি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

এর আগে আজ রবিবার লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান তোলে বাংলাদেশ। নাঈম শেখ আর মেহেদি মিরাজ উপহার দেন ১০ ওভারে ৬০ রানের ওপেনিং জুটি। মুজিব উর রহমানের গুগলি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে যান ৩২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৮ রান করা নাঈম। ৬ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে এটাই তার সর্বোচ্চ স্কোর। তিন নম্বরে নেমে কোনো রান না করে গুলবাদিন নাঈবের বলে ক্যাচ দেন তাওহীদ হৃদয়। এরপরই ইনিংস গড়ার দায়িত্ব নেন মিরাজ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ১৯০ বলে ১৯৪* রানের জুটি।

১১৫ বলে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া মিরাজ ১১৯ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ১১২ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়লে জুটির অবসান হয়। ১০১ বলে ৯ চার ২ ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া শান্তও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০৪ রানে রানআউট হয়ে যান। বাংলাদেশের পতন হওয়া পাঁচ উইকেটের তিনটিই রানআউট। মুশফিকুর রহিম ১৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৫ এবং অভিষিক্ত শামীম পাটোয়ারী ৬ বলে ১১ রান করে রানআউট হয়ে যান। শেষদিকে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ১৮ বলে অপরাজিত ৩২* রানে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৩৪ রান।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker