ভারতীয় রুপির দাম মার্কিন ডলারের বিপরীতে সর্বনিম্ন রেকর্ড করেছে। ৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, রুপি প্রতি ডলারে ৮৪.৭৪২৫ রুপিতে পৌঁছায়, যা এর আগের দিনের ৮৪.৭০৫০ রুপি থেকে কিছুটা বেশি। একই দিনে, ডলারের সূচক ১০৬.৫০-এ পৌঁছায়, যা পরোক্ষভাবে রুপির দর পতনের পেছনে বড় একটি কারণ হিসেবে কাজ করেছে।
ভারতের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন (জিডিপি) সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশের পর, সোমবার রুপির মূল্য ০.২৫% কমে যায়, যা গত ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বড় পতন। এই পরিস্থিতি সৃষ্টিতে একদিকে যেমন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান, অন্যদিকে ভারতের অর্থনৈতিক দুর্বলতার শঙ্কাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের অর্থনীতি যদি এই গতিতে ধীরগতির মধ্যে পড়ে, তবে রুপির দুর্বলতা আরও বেড়ে যেতে পারে।
একজন শীর্ষস্থানীয় মুদ্রাব্যবসায়ী মন্তব্য করেন, “রুপি ৮৪.৫০ থেকে ৮৪.৭৪২৫ পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য তেমন কোনো বড় বাধা ছিল না। এটা স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দেয় যে, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক (আরবিআই)-এর হস্তক্ষেপ ছিল কম অথবা ডলারের চাহিদা অত্যধিক ছিল। যে কোনো অবস্থাতেই এটি রুপির জন্য উদ্বেগজনক।”
তবে, মঙ্গলবারের দরপতনের পর, ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই)-এর হস্তক্ষেপ এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর ডলার বিক্রির মাধ্যমে রুপির দাম কিছুটা পুনরুদ্ধার হয়েছে। ভারতের মুদ্রাবাজার এখন আরবিআইয়ের সুদের হার সম্পর্কিত সিদ্ধান্ত এবং আসন্ন মার্কিন শ্রম বাজারের প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য অপেক্ষা করছে, যা পরবর্তী কিছু দিনে মুদ্রাবাজারের উপর আরও প্রভাব ফেলতে পারে।
এক মাসের ফরোয়ার্ড চুক্তি অনুযায়ী, বুধবার রুপির বিনিময়মূল্য পূর্বের ৮৪.৬৮৫০ রুপি লেভেলের কাছাকাছি শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।