জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) শুক্রবার বলেছে যে তারা বহু টন ত্রাণ সামগ্রী এবং সহায়তা কর্মীদের দক্ষিণ-পূর্ব আফগানিস্তানে দ্রুত নিয়ে গেছে, যেখানে বুধবার একটি মারাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে।
একটি বিবৃতিতে, ইউএনএইচসিআর বলেছে যে তারা ঐ এলাকায় যে সব সাহায্য সামগ্রি পাঠিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ৬০০টি তাঁবু, ৪২০০টি কম্বল, ১২০০টি জলের পাত্র, ১২০০টি বালতি, ১২০০টি প্লাস্টিকের শীট,৬০০টি রান্নাঘরের সেট এবং ১২০০টি সোলার ল্যাম্প। সংস্থাটি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার নয়টি ট্রাকে করে কাবুল থেকে এই সব সরবরাহ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ৫.৯ মাত্রার ভূমিকম্পে পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশগুলিতে ১০০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলি হল পাকতিকা এবং খোস্ত। কর্মকর্তারা বলছেন, শুক্রবারের একটি অনুকম্পনে আরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১১০০
জাতিসংঘের আরেকটি সংস্থা, ইউনিসেফ শিশু তহবিল, শুক্রবার বলেছে, ভূমিকম্পের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাদের দলগুলো মাঠে নেমেছে।
আফগানিস্তানের ইউনিসেফ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আয়োয়া রাজধানী কাবুল থেকে বলেছেন, ইউনিসেফ জরুরি ওষুধ ও চিকিৎসা সরবরাহ করছে, সেইসাথে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য এবং কলেরার বিস্তার রোধে সাহায্য করার জন্য কিট সরবরাহ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত পানি ও সীমিত স্বাস্থ্যব্যবস্থার কারণে তাদের বড় রকমের ঝুঁকি রয়েছে।
জাতিসংঘের এ ঘোষণা এসেছে এমন সময়ে যখন আফগানিস্তানের দুর্যোগ মন্ত্রকের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম হাক্কানি রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে বলেছেন যে এমন একটি বিশাল ভূমিকম্পের পরে মোকাবেলা করার জন্য দেশটির কাছে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই,- বিশেষ করে ওষুধ এবং অন্যান্য চিকিৎসা সরবরাহ।
হাক্কানি রয়টার্সকে বলেছেন যে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানের কাজটি আঘাত হানার মাত্র ৪৮ ঘন্টা পরে শেষ হয়েছিল, কেন এত দ্রুত অনুসন্ধান বন্ধ করা হয়েছিল তার বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে যে গত ২০ বছরের মধ্যে দেশটিতে এটি ছিল সবচেয়ে বেশি আঘাত হানা ভূমিকম্প । আফগানিস্তানের কর্মকর্তারা বলছেন,ভূমিকম্পের সময় আফগানিস্তানের সবচেয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক লোক মাটির ঘরে ঘুমাচ্ছিল। কিছু এলাকায় পুরো পরিবার মাটি চাপা পড়ে মারা গেছে।
এই প্রতিবেদনের জন্য কিছু তথ্য এপি এবং রয়টার্স থেকে নেয়া হয়েছে।