অবশেষে আদালতের মাধ্যমে অফিসিয়ালি বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস তাদের দীর্ঘ ২৭ বছরের সম্পর্কের ইতি টানলেন। এর মাধ্যমে সোমবার (২ আগস্ট) এই শতাব্দীর সব থেকে ব্যয়বহুল বিবাহ বিচ্ছেদ সংঘটিত হলো।
বিচ্ছেদ চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বিবাহটি টিকিয়ে রাখা অসম্ভব ছিল।’ বিচ্ছেদ চুক্তির মাধ্যমে বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটস কেউ কারো বিচ্ছেদ পরবর্তী দায়ভার গ্রহণ করবে না। এমনকি মেলিন্ডা নিজের নামের শেষে গেটসের নামটি বজায় রাখবে বলে জানিয়েছে।
এতদিন বিল গেটস এবং মেলিন্ডা গেটসের প্রতিষ্ঠান ‘গেটস ফাউন্ডেশন’ নিয়ে যে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছিল বিচ্ছেদ চুক্তির মাধ্যমে সেটি পরিষ্কার হয়ে গেল। এখন থেকে দু’জনই একত্রে এই ফাউন্ডেশনের হয়ে কাজ করবে বলে জানায় গেটস দম্পতি।
এর আগে মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস টুইটের মাধ্যমে তাদের বিচ্ছেদের খবর বিশ্ববাসীর কাছে প্রকাশ করে। গেটস টুইটে বলেন, ‘আমরা এক সঙ্গে চমৎকার তিনটি সন্তানকে বড় করেছি এবং গড়ে তুলেছি একটি ফাউন্ডেশেন যেটি পুরো বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্যের এবং কর্মের উৎপাদনশীলতা নিয়ে কাজ করে।’
তাদের দেওয়া সম্মিলিত বিবৃতিতে জানা যায়, ‘আমরা জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে যাচ্ছি। ব্যক্তিগত দূরত্ব এবং পরস্পর সহনশীলতার মাধ্যমে আমরা আমাদের নতুন সম্পর্কটি বজায় রাখতে চাই।’
১৯৮৭ সালে মেলিন্ডা গেটস মাইক্রোসফটে প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে যোগ দিলে সেখানে তার সঙ্গে পরিচয় হয় বিল গেটসের। পরিচয় থেকে প্রণয় এবং এই প্রণয়ের সম্পর্ক বিয়েতে গড়ায় ১৯৯৪ সালে। তারা তিন সন্তানের পিতা-মাতা। শুরুর দিকটাতে তারা যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়াই রাজ্যের অধিবাসী ছিল।
মে মাসে বিলের ডিভোর্সের ঘোষণা দেওয়ার পরে মিলেন্ডা ডিভোর্সের জন্য আবেদন করে। চুক্তি অনুযায়ী বিল গেটসের নির্দিষ্ট পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে মেলিন্ডা গেটস। ডিভোর্সের ঘোষণার পর থেকেই মেলিন্ডা সংবাদমাধ্যমের আড়ালে থাকার জন্য একটি ব্যক্তিগত আইল্যান্ড ভাড়া করে বসবাস করছে বলে জানা যায়।