নওগাঁর ধামইরহাটে আগ্রাদ্বিগুন ইউনিয়নের তালানদার সীমান্তে বাংলাদেশ ভারত দুই দেশের মধ্যে এক মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মিলনমেলায় ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সাধারণ মানুষ প্রায় ৪০ মিনিট ধরে তাঁরকাটার কাছে এসে একত্রিত হয়। তবে বিএসএফ দরজা না খোলায় তাঁরকাটা বেড়ার ওপারে ভারতীয়রা এবং এপারে বাংলাদেশের জনসাধারণরা দীর্ঘ দিন পর আত্নীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারায় আনন্দে মেতে উঠেন সবাই। আবার তারকাঁটার দু’পাশে স্বজনদের দেখা পেয়ে কাছে বসতে না পারায় আবেগে অনেকে কাঁদতে থাকে।
রবিবার ১৬ জানুয়ারি ভোর সকাল থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বাংলাদেশের তালানদার সীমান্তে ২৫৭ পিলারের সন্নিকটে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে।
এ সময় ভারতের বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি কড়া নজরদারিতে অনেকেই আত্নীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে না পারায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা হান্নায় জানান, ‘প্রতি বছরের ১৬ জানুয়ারী দু’ই বাংলার মাঝে এ মিলনমেলার আয়োজন করা হয়। এ বছর করোনা ভাইরাসে কারণে ব্যাপক হারে মিলনমেলার আয়োজন করা যায়নি। তার পরও নিদিষ্ট তারিখে দুই দেশের নাগরিকদের আগমনের ফলে সল্প পরিসরে এই মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
এ মেলায় আগত সাপাহার উপজেলার আয়সা হতাশ হয়ে জানান, আমার ছোট ছেলে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ভারতে বসবাস করে, আমি সেই সন্তান ও নাতি-নাতনীদের দেখার জন্য এসেছি দুঃখের বিষয় প্রশাসনের কড়া নজরদারির কারণে আমার আর তাদের সঙ্গে দেখা করা হলনা। মনে অনেক কষ্ট নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
এ ব্যাপারে পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এসএম নাদিম আরিফিন সুমন বলেন, ‘এ বছর মিলন মেলায় বিজিবি কিংবা বিএসএফের কোনো অংশগ্রহণ নেই। মহামারি করোনা ও অমিক্রনের জন্য সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও মানুষজন আবেগের বসে সমবেত হয়েছেন। দুই দেশের মানুষ কাঁটাতারের বেড়ার কাছাকাছি এসে দেখা করেছেন। স্বাস্থ্যবিধির কথা ভেবে কড়া নজরদারিতে রয়েছে বিজিবির।’