আন্তর্জাতিক

প্রতিবেশী দেশগুলোকে সতর্ক বার্তা, আরবদের বেইমানির কঠিন প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত ইরান!

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অলীক আলোচনার দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে আগেই। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাম্প দিয়েছে বোমাহামলার হুমকি। এবার ইরান তার প্রতিবেশী ৬টি দেশ যেগুলোতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে, তাদের সতর্ক করে দিয়ে বলল, যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রকে সহায়তা করে, তাহলে ছাড় দেয়া হবে না তাদেরও, পেতে হবে কঠিন শাস্তি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, প্রতিবেশী দেশগুলোকে বিশেষ করে ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, তুরস্ক এবং বাহারাইনকে সতর্ক করে দিয়ে ইতোমধ্যে বার্তা পাঠিয়েছে ইরান। তেহরান বলছে, আঞ্চলিক রাষ্ট্রগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণে কোনো ধরনের সহযোগিতা করে বা তাদের আকাশপথ বা ভূমি ব্যবহারের অনুমতি দেয়, তবে সেগুলোকে শত্রুর কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে এবং এর জন্য ভোগ করতে হবে ভয়াবহ পরিণতি।

ইরান জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সরাসরি কোনো আলোচনায় যাবে না, তবে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তেহরান। যুক্তরাষ্ট্র যদি পরোক্ষ আলোচনায় ইরানের সাথে বসতে আগ্রহী হয় তবে এটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের বার্তা এবং অবস্থান হতে হবে সুস্পষ্ট।

এদিকে ইরানের সশস্ত্র বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ট্রাম্পের সামরিক পদক্ষেপের হুমকিতে গোটা অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েক গুণ। যেখানে প্রবল হয়ে উঠেছে নতুন আরও এক যুদ্ধের আশঙ্কা।

গালফ অঞ্চলের দেশগুলোর মাঝে এক বৃহৎ তেল রপ্তানির পথ রয়েছে এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বিশ্ব অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ইরানের সতর্ক বার্তা নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। যদিও ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আবর আমিরাত, কাতার এবং বাহারাইনের মধ্যে কেউই দ্রুত কোনো মন্তব্য করেনি।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ইরানের ওই সতর্ক বার্তার ব্যাপারে অবগত নয়, তবে অন্য চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে এমন বার্তা পাঠানো হতে পারে।

এদিকে ইরানের মিত্ররাষ্ট্র রাশিয়া বৃহস্পতিবার মার্কিন সামরিক হামলার হুমকিকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রকে সাবধানতার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও ইরান রাশিয়ার সহযোগিতার ব্যাপারে আশাবাদী, তবে সে দেশের প্রতিও সন্দেহ প্রকাশ করছে কেউ কেউ।

ইরানি এক কর্মকর্তা জানান, এই সহযোগিতা ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্কের গতি-প্রকৃতির ওপর নির্ভর করে অনেকটা। তার মানে, যা হয় হোক, একাই লড়াইয়ের প্রস্তুতি আছে ইরানের। এমন পরিস্থিতিতে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই উত্তেজনা ভবিষ্যতে আরও বিপজ্জনক রূপ নিতে পারে বলে শঙ্কা করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker