আন্তর্জাতিক

ইরানের হামলায় ট্রাম্পকে আরবের হুঁশিয়ারি

ইরানের পাশে দাঁড়ালো মধ্যপ্রাচ্যের সব প্রভাবশালী দেশ। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত ও বাহরাইনে আছে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। কিন্তু ইরানের পাশে দাঁড়াতে এসব ঘাঁটি ব্যবহারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সরাসরি না করে দিয়েছে আরব বিশ্ব।

এমনকি, ইরানের যেকোনো হামলায় আকাশসীমা ব্যবহারের ওপরও মার্কিন যুদ্ধবিমানের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সৌদি আরব, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারসহ গালফ অঞ্চল। এই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন হলে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রকে— এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশগুলো।

মিডল ইস্ট আইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যুক্তরাষ্ট্রের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো এই সংঘাতে জড়াতে চায় না বলেও যুক্তরাষ্ট্রকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় ধাক্কা। ইয়েমেনের প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওপর ব্যাপক বিমান হামলার মাধ্যমে ইরানের ওপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু গালফ দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে যুক্তরাষ্ট্র এখন ভারত মহাসাগরের দিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। অতীতে ইরাকে হামলার সময়ও এই ঘাঁটি ব্যবহার করা হয়েছিল।

এদিকে, ইরান ইতোমধ্যে দিয়েগো গার্সিয়া ঘাঁটিতে হামলার হুমকি দিয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের সর্বোচ্চ পাল্লা ২০০০ কিলোমিটার। যদিও, রাশিয়া ও চীনের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারত মহাসাগর থেকে হামলা চালাতে সক্ষম তেহরান। মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুমকির পরপরই যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা আঘাত মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ইরান।

প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে সক্রিয় হয়েছে ইরান। বুধবার, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এ সময়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ইরান সফরের আমন্ত্রণ জানান পেজেশকিয়ান। জবাবে, শেখ মোহাম্মদ বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দেন এবং ইরানের শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করেন।

একই দিনে, ইরানের প্রেসিডেন্ট কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল আহমদ আল জাবের আল সাবাহ-এর সঙ্গেও ফোনে কথা বলেন। এসময়, ইরান আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চায় বলে জানান প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান।

জবাবে, কুয়েতের আমির স্পষ্ট জানিয়ে দেন— “আমাদের ভূখণ্ড অন্য কোনো দেশের বিরুদ্ধে শত্রুতামূলক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না।” তিনি আরও বলেন— “কুয়েতের সংবিধানের ভিত্তিতে, সরকার ও জনগণ কখনোই তাদের দেশ থেকে পরিচালিত কোনো আগ্রাসন মেনে নেবে না।”

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker