মাসখানেক আগে প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়েছিলেন তরুণী। কিন্তু প্রেমিক তাকে ফেলে পালিয়ে যান। এরপর এক রিকশাচালককে রাতে থাকার জন্য কম টাকার মধ্যে একটি হোটেলে নিয়ে যেতে বলেন। রিকশাচালক তাকে যৌনপল্লীতে বিক্রি করে দেয়। এরপর মাসখানেক ধরে সেখানেই ছিলেন। করা হতো নির্যাতন।
এমন অভিযোগ জানিয়ে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে এক তরুণী ফোন করেন ৪ ফেব্রুয়ারি। তিনি জানান, তিনি ফরিদপুর রথখোলা এলাকায় একটি যৌনপল্লীতে আটক আছেন। পতিতালয়ে আসা এক যুবকের মোবাইল থেকেই তিনি ফোন দিয়েছেন। তাকে উদ্ধারের অনুরোধ জানান তরুণী।
ওই দিনই ফরিদপুর রথখোলা এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা, পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ৯৯৯ দেশের যেকোনো প্রান্তে ২৪ ঘণ্টা নাগরিকের জরুরি মুহূর্তে ও প্রয়োজনে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুল্যান্স সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।