বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্ডেজ। অভিনয় জগতে নিজের শক্ত অবস্থান থাকলেও গেল বছরটা মোটেও ভালো যায়নি এই অভিনেত্রীর। বছরটিতে মুক্তি পেয়েছে তার চারটি ছবি। কিন্তু একটিও সফলতা পায়নি বক্স অফিসে। সেই সঙ্গে ২০০ কোটি টাকার তছরুপ মামলায়ও জড়িয়েছে তার নাম।
এমনকি সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়েও ব্যাপক জলঘোলা হয়েছে। ইডি এবং আদালতে হাজিরা দিতে দিতেই তার বছর শেষ। সেই সঙ্গে ভারত ছাড়ার ওপরও রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। বলা চলে, বছরটি ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিজীবনে ব্যাপক ঝামেলার মধ্য দিয়েই গেছে জ্যাকুলিনের।
এবার একই মামলায় জ্যাকুলিনের সঙ্গে জড়িয়েছে নোরা ফাতেহির নামও। রীতিমতো দুই নায়িকার মধ্যে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে দ্বন্দ্ব। কারণ, দুজনের সঙ্গেই বেশ সখ্যতা ছিল সুকেশ চন্দ্র শেখরের। তবে এতদিন মুখে কুলুপ আঁটলেও সম্প্রতি নানা কথা বলেন তিনি।
‘সুকেশের পক্ষ থেকে প্রেমের প্রস্তাব এসেছে, এর বিনিময়ে বিলাসবহুল বাড়ি ও জৌলুসপূর্ণ জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতিো দিয়েছেন’—কদিন আগে এমনটাই দাবি করেছিলেন নোরা ফাতেহি। তবে নোরার এমন দাবি অস্বীকার করে নতুন বিবৃতি দিয়েছেন ভারতের ধনকুবের সুকেশ চন্দ্রশেখর। যেখানে বলা হয়েছে, নোরার জন্য মরক্কোতে একটি বাড়ি কিনতে ইতোমধ্যেই বড় অংকের অর্থ দিয়েছেন তিনি।
ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সুকেশ বলেন, ‘নোরা বলছে, আমি তাকে একটি বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। কিন্তু মরক্কোর কাসাব্লাঙ্কায় পরিবারের জন্য একটি বাড়ি কিনতে ইতোমধ্যেই সে আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে। এখন আইনের হাত থেকে বাঁচতে সে এই মিথ্যা গল্প বানাচ্ছে।’
সুকেশ বিবৃতিতে আরও বলেন, ‘নোরা দাবি করেছে, সে আমার কাছে কোনো গাড়ি চায়নি, কিংবা নিজের জন্য কোনো গাড়ি নেয়নি। এটি একটি ডাহা মিথ্যা। কারণ, সে তার গাড়িটি বদলে নেওয়ার জন্য আমার পেছনে পড়েছিল। কারণ, তার সিএলএ মডেলের গাড়িটা পুরোনো হয়ে গিয়েছিল এবং সে কারণে আমিও নতুন গাড়ি কিনে দিতে বাধ্য হয়েছিলাম। এমনকি সে যে গাড়ি পছন্দ করেছে সেটাই আমি কিনে দিয়েছি। সব কিছুর স্ক্রিনশট ইডির কাছে আছে। এতে কোনো মিথ্যা নেই। অবশ্য আমি তাকে দিতে চেয়েছিলাম রেঞ্জ রোভার। কিন্তু ওই সময় গাড়িটি স্টকে ছিল না। অন্যদিকে নোরাও নতুন গাড়ির জন্য পাগল হয়ে গিয়েছিল। তাই তাকে বিএমডব্লিউ এস সিরিজ দিয়েছিলাম। কারণ, এই মডেল সে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার করেছিল।
প্রসঙ্গত, ২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণা মামলায় জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে নোরা ফাতেহির। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট তথা ইডির পক্ষ থেকে নোরার জবানবন্দিও রেকর্ড করা হয়েছে। তার মধ্যেই নোরা-সুকেশের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ শোনা গেল।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.