রংপুর

সজনে ডাঁটা ২০০ টাকা কেজি, ৩০০ ছাড়ালো পাকিস্তানি মুরগি

রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। সেইসঙ্গে বেড়েছে পাকিস্তানি মুরগিসহ কিছু সবজির দাম। এছাড়া মাছ-মাংস ও ডিমসহ চাল, ডাল ও তেলের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি গত সপ্তাহের মতোই ২১০-২২০ টাকা বিক্রি হলেও পাকিস্তানি মুরগি ২৯০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩১০-৩২০ টাকা, দেশি মুরগি আগের মতোই ৪৬০-৪৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে পোলট্রি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৫ টাকায়।

সিটি বাজারের মুরগি বিক্রেতা মহসিন আলী বলেন, আপাতত মুরগির দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছি না। সামনে রমজান মাস। এমনিতেই মুরগির চাহিদা বৃদ্ধি পায় এ মাসে। চাহিদার তুলনায় আমদানি কম থাকলে দাম কমার সম্ভাবনা নেই।

এদিকে, গরুর মাংসের বাজারেও কোনো সুখবর নেই। গত সপ্তাহের মতোই ৬৭০-৭০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৮০০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিকেজি টমেটো গত সপ্তাহের মতো ২৫-৩০ টাকা, গাজর ২৫-৩০ টাকা, শসা ২৫-৩০ টাকা, চিকন বেগুন ২০-২৫ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৩৫-৪০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫-৫০ টাকা, পেঁপে আগের মতোই ১৫-২০ টাকা, করলা ৬০-৭০ টাকা, লেবু প্রতিহালি ১৫-২০ টাকা, কাঁচামরিচ ১১০-১২০ টাকা থেকে বেড়ে ১৩০-১৪০ টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতোই ৪৫০-৫০০ টাকা, প্রতিপিস লাউয়ের দাম ৪০-৫০ টাকা, ধনেপাতা কেজি ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা, প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া ৩০-৩৫ টাকা, শিম ২৫-৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫-৪০ টাকা, মুলা আগের মতোই ১৫-২০ টাকা, বাঁধাকপি ও ফুলকপি ১০-১৫ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া আগের মতোই আদা ১১০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সব ধরনের শাকের আঁটি পাওয়া যাচ্ছে ১০-১৫ টাকায়। এছাড়া বাজারে নতুন আসা দেশি সজনে ডাঁটা ১৯০-২০০ টাকা, মিষ্টি আলু ৩৫-৪০ টাকা, পটল ৯০-১০০ থেকে কমে ৮০-৯০ টাকা এবং মটরশুঁটি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে নতুন কার্ডিনাল আলু গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা কমে ১৬-১৮ টাকা, শিল ও ঝাউ আলু ৩০-৩৫ টাকা এবং গ্রানুলা (সাদা) আলু ১৬-১৮ টাকা থেকে কমে ১২-১৫ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে। এ সপ্তাহে খুচরা বাজারে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা।

মুলাটোল আমতলা বাজারের সবজি বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া বলেন, বাজারে আসা নতুন সবজির দাম আকাশচুম্বী। সেইসঙ্গে শীতকালীন সবজির সরবরাহ কমে আসায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন ১৮৭ টাকা, দুই লিটার ৩৭৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৬০-১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চালের বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, খুচরা বাজারে স্বর্ণা চাল গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৫২ টাকা, পাইজাম ৫৪-৫৫ টাকা, বিআর২৮ ৬০-৬৫ টাকা, মিনিকেট ৭৫-৭৮ টাকা ও নাজিরশাইল ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে খোলা চিনি গত সপ্তাহের মতোই ১১৫-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্যাকেট আটা ৬৮-৭০ টাকা ও খোলা আটা ৫৮-৬০ টাকা, ছোলা বুট ৯৫-১০০ টাকা এবং প্যাকেট ময়দা ৭৮-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে আগের মতোই মসুর ডাল (মাঝারি) ১১০-১২০ টাকা, চিকন ১৩০-১৪০ টাকা, মুগডাল ১৪০-১৫০ টাকা এবং বুটের ডাল ৯০-১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে, মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ২৫০-৩০০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৪০-১৬০, কাতলা ৪০০-৪৫০ টাকা, বাটা ১৬০-১৮০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৫০-২৫০ টাকা এবং গছিমাছ ৬০০-৬৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

সম্পর্কিত সংবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker