সাধারণত পুলিশ যখন কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করে, তখন সে ব্যক্তিকে বিমর্ষ বা কষ্ট পেতে দেখা যায়। কেউ কেউ কেঁদে ফেলেন। তবে পুলিশের হাতে আটকের পর কাউকে হাসতে দেখাও একটা ভিন্ন ইতিহাস। এমন বিরল দৃশ্যই দেখা গেছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থানার পুলিশ ও সাংবাদিকরা। গাঁজাসহ আটকের পর টানা হাসতে থাকেন কামাল হোসেন (২৭) নামের এক আসামি। তার হাসি দেখে পুলিশ সদস্যসহ উপস্থিত সাংবাদিকরাও হেসে দেন।
এমন সময়ই স্থানীয় এক সাংবাদিক আসামিকে জিজ্ঞাসা করেন, হাসছেন কেন? উত্তরে তিনি বলেন, আমি গাঁজা খাই, আমি কোনো নেশা করি না, শুধুই গাঁজা খাই। প্রতিদিনই আমাকে গাঁজা খেতে হয়। এক পুরিয়া গাঁজা কিনতে লাগে ২০ টাকা, দিনে কখনো কখনো ৮০ থেকে ১০০ টাকার পর্যন্ত গাঁজা কিনতে হয়। বারবার গাঁজা কেনা আমার পছন্দ না, তাই একবারে অনেকগুলো গাঁজা কিনে বাড়িতে রেখে দিই। সেগুলো শেষ হয়ে গেলে আবার কিনি।
গত সোমবার (৪ এপ্রিল) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তার কাছ থেকে ৪৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। আসামি কামাল চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা ইউনিয়নের ইছামতি ডাঙ্গাপাড়া এলাকার বরকত আলীর ছেলে।
একই রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের মহিরপুর মেম্বারপাড়া এলাকার মৃত মফির উদ্দিনের ছেলে লুৎফর রহমানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে এক কেজি গাঁজা জব্দ করা হয়।
চিরিরবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রশিদ বলেন, আমি আমার জীবনে কখনো এমন আসামি দেখিনি, যে আটক হওয়ার পর এভাবে হাসে। সাধারণত কাউকে আটক করলে কেঁদে ফেলে এমন ঘটনা অনেক। অনেকেই মন খারাপ করে থাকে। কিন্তু এই আসামি একেবারেই ব্যতিক্রম।
দিনাজপুর পুলিশ সুপার মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায় সোমবার দিবাগত রাতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.