জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে বিউটি বেগম (২০) নামে এক প্রেমিকার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রেমিক উজ্জ্বল হোসেনকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে ক্ষেতলাল থানা পুলিশ। শনিবার (২৮ মে) ভোররাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক উজ্জ্বল হোসেন (২২) ক্ষেতলাল উপজেলার শিবপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রওশন ইয়াজদানী জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড়া গ্রামের বিউটি বেগম স্বামী পরিত্যক্তা। তিনি বাবার বাড়িতেই থাকতেন। মোবাইলে পরিচয়ের সূত্র ধরে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই একপর্যায়ে গত ২১ এপ্রিল বিউটিকে উজ্জ্বলের বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করে। এরই ফলশ্রুতিতে বিউটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে উজ্জ্বল তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়ে চাপা দেয়। নিহত বিউটি বেগম বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ দামগড় গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেনের মেয়ে।
এর আগে বিউটি নিখোঁজের পর তার পরিবার শিবগঞ্জ থানায় একটি জিডি করে। পরে বিউটির হারানো মোবাইলের নম্বরের সূত্র ধরে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে প্রেমিক উজ্জ্বলকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে শনিবার ভোররাতে শিবগঞ্জ থানা ও ক্ষেতলাল থানা পুলিশের উপস্থিতিতে উজ্জ্বলের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে হত্যার এক মাস সাত দিন পর বিউটি বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ক্ষেতলাল থানায় নিহতের ভাই বাবলু মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.