কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ডাকাতের উৎপাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। ডাকাতির ভয়ে এবং ডাকাত পাহাড়া দিতে গিয়ে রীতিমতো নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে এই জনপদের বাসিন্দাদের।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর উপজেলার লোহাজুরী ও জালালপুর ইউনিয়নে গত ১৫ দিনে বেশ কয়েকটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কোথাও কোথাও ডাকাতির হুমকি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে একটি চক্র। কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার পর ওইসব এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হলেও আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকাবাসীর। রাত গভীরে ডাকাত আক্রমণের আভাস পেলেই শুরু হয় মাইকিং। গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে রাতগভীরে মাইকিং আর হই হুল্লোড়। কিন্তু ডাকাতদলের সদস্যরা পার পেয়ে যাচ্ছে কৌশলে। এলাকাবাসীর ধারণা ডাকাতদলের সঙ্গে স্থানীয় চক্রের যোগসাজস রয়েছে। স্থানীয়রা জানান,রাত হলেই এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। ডাকাতদের ভয়ে নির্ঘুম রাত পার করতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। প্রশাসনিক তৎপরতা জোরদার করে চক্রটির মুখোশ উন্মোচন করে এলাকায় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার দাবী জানান।
লোহাজুরী ও জালালপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ফজলুল হক,নুরুল হক বলেন,সারারাত ডাকাতদের আতঙ্কে থাকি। সকাল হলেই শুনি কারো না কারো বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। পরিবারের সবাইকে ডাকাতের আতঙ্কে রাত জেগে থাকতে হচ্ছে।
চরপুক্ষিয়া গ্রামের ফারজানা খাতুন বলেন,আমি রাতের বেলায় রাস্তায় কিছু মানুষের আনাগোনা দেখতে পাই। এ ঘটনাটি কেন করছে,কারা করছে তদন্ত করে বের করা দরকার এবং তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত শাস্তি দেওয়া হোক।কারন বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে ভীতির কাজ করছে।
লোহাজুরী দশপাখি গ্রামের ইউপি সদস্য স্বপন মিয়া ও নবনির্বাচিত সদস্য মাসুদ রানা বলেন, এলাকায় নেশাখোরের সংখ্যা বেড়ে গেছে। নেশার টাকার জন্য ডাকাতির ঘটনা বেড়ে যাওয়ার ধারণা পোষণ করেন তারা।
জালালপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাপ মিয়া বলেন, স্থানীয় চক্রের সহযোগিতায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। গ্রামবাসী জেগে উঠলে তাদেরকে আর কোথাও পাওয়া যায় না।
কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদাত হোসেন বলেন,ডাকাতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।