কটিয়াদী

কটিয়াদীতে সিত্রাং এর প্রভাবে বৃষ্টি

ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে কটিয়াদী উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে মরিচ,মূলা,আলু,সরিষা,পেয়াজ,টমেটো, ফুলকপিসহ শীতকালীন সবজি ও বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নষ্ট হয়েছে কয়েকশত বিঘা জমির শীতের সবজি ও আমন ধান। এরই মধ্যে আগাম জাতের ধান কাটা শুরু হয়েছে আর কয়েকদিন পর শুরু হবে পুরোদমে ধান কাটা। সেই ফসল দিয়েই ঋণমুক্ত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে অনেক কৃষক। আজ সোমবার ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে বৃষ্টিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের অনেক কৃষকের। কিভাবে এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠবেন এই ভেবে এখন দিশেহারা কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসসুত্রে জানাযায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার পৌরসভা ও ৯ ইউনিয়নে ১৫০০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২৪ অক্টোবর ভোরে থেকে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিতে সবজি ক্ষেতসহ উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এ এলাকার শতাধিক একর জমির ধানসহ শীতকালীন সবজি নষ্ট হয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখাযায়, কটিয়াদী উপজেলার পৌরসভা, জালালপুর, লোহাজুড়ি, মসুয়া, বনগ্রাম, ধুলদিয়া, আচমিতা, করগাও, মুমুরদিয়া, চান্দপুর ইউনিয়নের আমন ধান, মূলা, ডাটা, টমেটো, শিম, ফুলকপিসহ বিভিন্ন শীত কালীন সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।

লোহাজুড়ি ইউনিয়নের কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, আমার সব শেষ। তিনি এবার ৪ বিঘা জমিতে শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের সবজি লাগিয়েছি। কিন্তু আজ ঘুর্নিঝড় সিত্রাং এর কারণে তার শীতকালীন সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে অনেক গাছ মাটির সাথে মিশে গেছে। গাছের গোড়ায় পানি জমেছে ও বাতাসে ডালপালা ভেঙে গেছে।

জালালপুর ইউপির ফেকামারা গ্রামের কৃষক মাসুক মিয়া বলেন, আমি দেড় বিঘা জমির মরিচ লাগিয়েছিলাম। আমার কিছুই নাই। জমিতে পানি জমে প্রায় সব গাছ পচে গেছে। যা আছে তাতে ভাল ফলন ধরলেও যে টাকা খরচ হয়েছে তা উঠবে না।

পৌর এলাকার বাসিন্দা রহিম মিয়া বলেন, আমরা গরিব মানুষ। আমরা দিন আনি দিন খাই। ওই দিন ভোররাতে থেকে বৃষ্টি শুরু হচ্চে মনে হয় সারাদিন চলতে থাকবে। এক টাকাও রোজগার করতে পারিনি। কতদিন বৃষ্টি হয় জানিনা আর এভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মুকশেদুল হক বলেন, আজকের মত ঝড়ো হওয়া ও বৃষ্টি চলতে থাকলে মরিচ, আলু, ফুলকপি, টমেটোসহ উপজেলা বিভিন্ন স্থানে শীতকালীন সবজির ও আমন ধানের ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তবে কি পরিমান হবে এর সঠিক পরিমান এখনো নির্ণয় করা যায়নি। ক্ষতির পরিমান বিভিন্ন ইউনিয়নের উপ-সহকারীদের মাধ্যমে নির্নয়করে ক্ষতিগ্রস্থদের প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে।


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker