কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মাঝি বাড়ী নামক গ্রামের আফাজ উদ্দীন এ বছর ৪৮ হাত দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট একটি দৌড়ের নৌকা তৈরি করিয়েছেন। স্বীয় গ্রামসহ প্রতিবেশী গ্রাম থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ আসে নৌকাটি দেখতে।
সরেজমিনে মিশন৯০ এর চোখে পরে বিভিন্ন প্রস্ফুটিত রংগের মিশ্রনে নিখুঁত সমাহার।নৌকাটি নির্মান করার পর সাজানো হয়েছে মনের মাধুরি মিশ্রিত বাহারি রঙ্গে,চলছে নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার মৌসুম, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা গ্রামাঞ্চলের ঐতিহাসিক আনন্দময় একটি ড্রাগন সিস্টেম খেলা।তাতে অংশগ্রহণ করে বহু দুর দিগন্ত পারি দিয়ে শখের প্রতিযোগীরা।এক সময় মোগল আমলে নবাবদের পরিচিতি ব্যাপকতা করার জন্য এই নৌকা বাইচের আয়োজন করত।
যুগ যুগ ধরে পল্লির সরলপ্রিয় মানুষ গুলি জীবনের একটা অংশ হিসেবে শখটাকে বাচিয়ে রেখেছে।
শখের বসেই বহু অর্থ সময় ব্যায় করে থাকেন নৌকার মালিকরা।এটা বর্তমানে একটা বিশাল ঐতিহ্যে রুপ নিয়েছে।
জানা যায় – আফাজ উদ্দীন মাঝির পূর্বেও দৌড়ের নৌকা ছিল।বহু পুরষ্কার ছিনিয়ে এনেছে বহু যায়গা থেকে বীর বিজয়ীবেশে।তার নিজ গ্রাম ও প্রতিবেশী গ্রামের বাইচারা নৌকা বাইচ করতো,এবং সম্মিলিত কন্ঠে সারি গান গাইত,অসাধারণ পরিতৃপ্তিতে ভরে যেত দর্শনার্থীদের মন,বহু লোক মুখে শুনেছি।
একি রংগের গেঞ্জি হাফপেন্ট পরে করতাল বাজিয়ে সারি গেয়ে নৌকা বেয়ে চলে বাঁইচারা,ঢোলের তালে বৈঠা ফেলে,কোন কোন নৌকায় বাঁশির ফুর তালে বৈঠা মারে মাঝিরা আর মুখে সম্মিলিত কন্ঠে ফুটে ঃ-
” নতুন বৌয়ে শাড়ী পড়েনা,এদিক সেদিক ঘুইরা বেড়ায় অহংকারে বাঁচে না”………..
কেউ কেউ গায়, “আল্লায় বলিয়া নাও খোল রে ভাই সক্কলি।আল্লাহ বলিয়া খোল।।ওরে আল্লা বল নাও খোল শয়তান যাবে দূরে।।ওরে যে কলমা পইড়া দেছে মোহাম্মদ রাসূলরে ভাই সক্কলি”
এমন আরো বহু সারি গানে মুখরিত হয় নদী।তালে তালে নৃত্যে অসম্ভব সুন্দর্য্যের ঢেউ জাগে নৌকার মাঝি মল্লা ও দর্শনার্থীদের মনে।
আফাজ উদ্দীন মাঝির ছেলে আপন মাঝির সাথে আমাদের কথা হয় তিনি বলেন-
টাংগাইল জেলার মেস্ত্রী দ্বারা নৌকাটা তৈরি করা হয়, ৪৮ হাত নৌকাটা বানাতে জিতেন , রমেশ , রাম ,তিনজন মেস্ত্রীর সময় লেগেছিল ২৮দিন সর্বমোট খরচ হয় (৪০০০০০)চার লক্ষ টাকা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.