‘আমাকে অনেকের ভালো না লাগতে পারে। আমরা তিনজন নুরুল আমিন চৌধুরী, রেজাউল করিম রাজা ও আমি―যেকোনো লোককে ভোট দেন। আমরা আপনাদের ভোটের দাবিদার। আমি যদি পৌরসভার বেশি দাবিদার হই, তাহলে তাঁরাও ভোটের দাবিদার, উনারা আমার নেতা।
আমাকে যদি ভালো না লাগে তাহলে নুরুল আমিন চৌধুরী এবং রেজাউল করিমকে আপনারা ভোট দিবেন।’
এমন বক্তব্য দিয়ে অন্য প্রার্থীদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন বোয়ালখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এবারের প্রার্থী মোহাম্মদ শফিউল আলম।গত সোমবার রাতে পৌরসভা ৬ নম্বর ওয়ার্ড খায়ের মঞ্জিল দরবার শরিফ সংলগ্ন আয়োজিত মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় তাঁর দেওয়া বক্তব্যের ৪ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এতে অন্যান্য প্রার্থী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এস এম সেলিম এবার চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হবেন। তিনি বলেন, ‘একজন প্রার্থী যদি নাম প্রকাশ করে অন্য প্রার্থীর জন্য ভোট চান, তাহলে বুঝতে হবে তিনি ভোটের মাঠে থাকবেন না। তিনি কৌশলে অন্যদের প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত আছেন। এককথায় তিনি তাঁদের দালালি করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ব্যানারে নির্বাচনী প্রচারণা করা উচিত নয়। একজন প্রার্থী হয়ে নাম প্রকাশ করে অন্য প্রার্থীদের জন্য ভোট চাওয়া মানে তিনি নির্বাচনে না আসা। মূলত তিনি তাঁদের হয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন। তাঁর এই বক্তব্যে বোয়ালখালীর অধিকাংশ নেতাকর্মীসহ অন্য প্রার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।’ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
এই নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাই হবে আগামী ৫ মে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১২ মে। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৩ মে।
সোমবারের ওই বক্তব্যের বিষয়ে আলহাজ মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘তাঁরা (নুরুল আমিন চৌধুরী ও রেজাউল করিম রাজা) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। আমিও পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আমরা তিনজনের দাবি বেশি। তাই আমি তাঁদের নাম উল্লেখ করেছি।’
এ বিষয়ে নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মঈনুল হক বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী সভা-সমাবেশ করা যাবে না। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে।