রংপুর

কাউনিয়া স্টেশন স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি

উত্তারাঞ্চলের যোগাযোগের নাভী হিসেবে পরিচিত রংপুরের কাউনিয়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনটি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।

সরেজমিনে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, বৃটিশ আমলে নির্মিত ঝুকিপূর্ণ ভবনে চলছে স্টেশনের মূল কার্যক্রম, নেই আধুনিক গন শৌচাগার, নামমাত্র যাত্রী বিশ্রামাগার যা অপরিচ্ছন্ন, বিশুদ্ধ পানির অভাবনিত্য দিনের, বিদ্যুৎ চলে গেলে ভূতুড়ে এলাকায় পরিনত, টোপলাটানা পাটির উপদ্রপ, মুসাফির খানা হকারের দখলে, অভারব্রীজ ও প্লাটফরম অপরিচ্ছন্ন, রেল লাইনে পাথর নেই, প্লাটফম ও রেললাইনসহ স্টেশন চত্তরে গরু ছাগলের অবাধ বিচরন, ইনটারনেটে টিকেট না পাওয়ার অভিযোগ, কালো বাজারে টিকেট বিক্রি।

এই স্টেশনে দিনে রাতে ৩০টি ট্রেন যাতাযত করে। মালামাল ও যাত্রী পরিবহনে বছরে প্রায় দুই কোটি টাকা আয় হলেও স্টেশনটি স্বাধীনতার ৫৩ বছরেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি। আধুনিক সুযোগ সুবিধা না বাড়লেও দিন দিন বাড়ছে দুর্ভোগ আর যাত্রি বিড়ম্বনা। জনবল সংকট নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এই স্টেশনটি।

স্টেশন মাষ্টার মোবারক হোসন জানান, আন্তঃ নগর ট্রেনসহ ৩০টি ট্রেন চলে এই রেল জংশন স্টেশন দিয়ে। অথচ স্টেশনটিতে চরম জনবল সংকট রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ ভবনে চালাচ্ছি কার্যক্রম। বর্ষাকালে ২নং প্লাটফর্মের ছাউনি দিয়ে পানি পড়ে। নানা সমস্যা থাকলেও গত অর্থ বছরে স্টেশন থেকে প্রায় ২কোটি টাকা আয় হয়েছে। আধুনিক স্টেশন করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনেক বার বলেছি তারা জানিয়েছে উন্নয়নের পরিকল্পনা আছে। স্টেশনটি বর্তমানে গরু ছাগলের বিরাণভুমিতে পরিনত হয়েছে, এসব যেন দেখার কেউ নেই।

স্থানীয়রা জানান, বর্ষা মৌসুমে ২নং স্টেশনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।

আন্তঃনগর ট্রেনের অপেক্ষমান যাত্রী আনোয়ার হোসেন জানান, টিকেটের কালোবাজারী তো রয়েছেই সেই সাথে রয়েছে নেশা খোরদের উৎপাত। যাত্রীদের অভিযোগ, গনশৌচাগার না থাকায় মহিলা যাত্রীদের বিড়ম্বনার শেষ নাই। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বালাই নেই। একটি ১ম শ্রেণীর ওয়েটিং রুম থাকলেও কোন আয়া নেই। পরবর্তীতে ২য় শ্রেনীর একটি ওয়েটিং রুম তৈরী করা হলেও অপরিচ্ছন্নতায় ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২জন সুইপার কাগজে কলমে থাকলেও তাদের কাজে দেখা যায় না। খাবার পানির জন্য দুইটি টিউবয়েল থাকলেও অধিকাংশ সময় থাকে নষ্ট।

রেলওয়ে মেডিকেলের আস্তিত্ব অনেক আগেই বিলিন হয়ে গেছে, ফলে ট্রেনে কাটা রোগি ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের কোয়াটার গুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে। কর্মচারীদেও থাকার সমস্যা দীর্গ দিনের।

টিকিট কালোবাজারে বিক্রীর কথা অস্বীকার করে ষ্টেশন মাষ্টার জানান, এ ষ্টেশনে ৩৭ জন ষ্টাফ এর বিপরীতে আছে মাত্র ২১ জন। সমস্যা আছে আস্তে আস্তে এর উন্নয়নও হচ্ছে। সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানান হয়েছে।

Author

দ্বারা
মোঃ মন্জুরুল আহসান, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি
0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker