কাউনিয়ার তিস্তা চরের কীটনাশক মুক্ত মিষ্টি কুমড়া রফতানি হচ্ছে বিভিন্ন জেলায়। তিস্তার চরে কুমড়া চাষ করে ভাল দাম পেয়ে বেজায় খুশি। তিস্তার জেগে উঠা চরে কুমড়াসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষিরা সাবলম্ব হচ্ছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গাজিরহাট এলাকায় শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন এর বাড়ির সামনে গিয়ে দেখা গেছে, ট্রাকে ট্রাকে মিষ্টি কুমড়া বোঝাই করে যাচ্ছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায়। কাউনিয়ায় কীটনাশক মুক্ত ও সুস্বাদু কুমড়া চাষ করায় এর চাহিদা অনেক বেশী। কীটনাশক মুক্ত সবজি চাষে ইতোমধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন তিস্তা চরের কৃষকরা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, তিস্তার চরে চলতি মৌসুমে নির্ধারিত চাষি সহ অন্যান্য চাষিদের উৎপাদিত কুমড়া প্রায় ৩৫০টন। যা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে অন্য জেলায় রফতানি হচ্ছে।
কাদের আলী বলেন, কৃষি বিভাগের উদ্যোগে তিস্তার চড়ে মিষ্টি কুমড়া শাক, সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ করা হয়েছে, এবং এলাকার যুবকরাও চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অর্থ উপার্যন করে নিজেদের চাহিদা মিটাচ্ছেন।
চাষি নজরুল জানান, তার ২৫ শতক জমিতে ১২ থেকে ১৫টন পর্যন্ত কুমড়া ফলেছে। তিনি ১৫টাকা থেকে শুরু করে বর্তমানে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। এছারাও তিনি সহ বেশ কয়েক জন কুমড়া কিনে বিভিন্ন বিভিন্ন জেলায় বেশী দামে বিক্রি করছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শাহনাজ পারভীন জানান, পুষ্টি চাহিদা পুরন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে অনন্য ভূমিকা রাখছেন তিস্তা চরের কৃষক। সরকারী সহায়তায় উপজেলায় চরাঞ্চলের প্রায় ৬০ একর জমিতে কুমড়া চাষ করা হলেও চাষীদের নিজের চেষ্টায় সাথী ফসল সহ কুমড়া চাষ হয়েছে অনেক বেশী। চরের ২০০জন চাষিকে কুমড়া চাষে কৃষি প্রনোদনা দেয়া হয়েছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.