ভালোবাসার মানুষটিকে সারাজীবনের জন্য নিজের করে নিতে মানুষ কত কিছুই না করে। তারপরও কি সবাই সবার প্রিয় মানুষটিকে জীবনসঙ্গী হিসেবে পান? না, সবার কপালে তা জোটে না। ভারতের উত্তর প্রদেশে এমনই এক ঘটনা ঘটেছে।
আসল ঘটনা হলো, সরকারি চাকরির সুবাদে উত্তর প্রদেশের ঝাঁসির এক বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হয়ে যান উপমা (ছদ্দনাম)। সেখানে পরিচয় হয় কৌশানি (ছদ্দনাম) নামের এক তরুণীর সঙ্গে। অল্প সময়ের মধ্যেই দুজনের মধ্যে ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। সে বন্ধুত্ব এক সময় রূপ নেয় ভালবাসায়।
বিষয়টি এক পর্যায়ে কৌশানির পরিবার জেনে গেলে, তা নিয়ে বেশ অশান্তির সৃষ্টি হয়। শেষমেশ কৌশানির পরিবার উপমাকে ঘর ছেড়ে দিতে বলে। সরকারি চাকরির সুবাদে ২০১৬ সালের দিকে সরকারি কোয়ার্টার পেয়ে যান উপমা। কৌশানিদের বাড়ি ছেড়ে সেখানে চলে যান তিনি। এক সময় কৌশানিও পরিবার ছেড়ে উপমার সঙ্গে থাকতে শুরু করেন।
দুজনের মধ্যে ভালোবাসা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে, তখন প্রেমিকার কথাতে লিঙ্গ পরিবর্তন করান উপমা। দিল্লি স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে গিয়ে আগে শারীরিক পরীক্ষা করান। চিকিৎসক যখন তাকে লিঙ্গ পরিবর্তনের অনুমতি দেন, তার কিছুদিন পরেই অস্ত্রোপচার করান উপমা। ২০২০ সালের ২২ জুন উপমার নাম বদলে হয়ে যান সুলেমান খান।
সুলেমানের দাবি, অস্ত্রোপচারের পর কৌশানি নিজেকে তার স্ত্রী হিসেবে সই করিয়ে হাসপাতাল থেকে কোর্টারে নিয়ে আসেন। কিছুদিন পর কৌশানি একটি হাসপাতালে চাকরি পেয়ে যান। তার পর থেকেই কৌশানির আচরণ পালটে যেতে থাকে।
সুলেমান আরও বলেন, এক রাতে কৌশানিকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে কাঁদতে দেখেন। তারপরই জানতে পারেন, কর্মস্থলের এক সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন কৌশানি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে কৌশানি সুলেমানকে ছেড়ে আবার নিজের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন।
এর কয়েকদিন পরই কৌশানি ও তার পরিবার সুলেমানের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টার অভিযোগ করেন। এর পাল্টা জবাবে কৌশানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সুলেমান। তার ভিত্তিতেই এবার পুলিশ সোনিয়াকে সমন পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.