প্রতি বছরের মতো এবারও দেশে দেশে নানা আয়োজনের মধ্যে উদযাপিত হচ্ছে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন ক্রিসমাস ডে বা বড়দিন। উৎসবের সাজে সেজেছে ইউরোপ, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ।
ইউরোপের পথে পথে হয়েছে আলোকসজ্জা। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস ট্রি। জার্মানিতে খুব বড় করে উৎসব উদযাপন করা হচ্ছে। যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালিতেও চলছে বড়দিনের উৎসব।
যিশুর জন্মস্থান ফিলিস্তিনের বেথেলহেমেও চলছে উদযাপন। কনকনে শীত উপেক্ষা করে গির্জায় উপস্থিত ছিলেন কয়েকশ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী। ছিলেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসও।
বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে ভ্যাটিকান সিটিতেও। শনিবার দেশটির সেন্ট পিটার্সবার্গ ব্যাসিলিকা গির্জায় কয়েক হাজার মানুষ প্রার্থনায় অংশ নেন।
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস এ সময় যুদ্ধের পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী যে নৈরাজ্য ও অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে, সে বিষয়ে কথা বলেন।
রোববার উইন্ডসোর ক্যাসল থেকে সবার উদ্দেশে শুভেচ্ছা বার্তা দেন ব্রিটেনের নতুন রাজা তৃতীয় চার্লস। পাশাপাশি প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথকেও স্মরণ করেন তিনি।
এমনকি যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতির সময় নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়ায় সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, স্বাস্থ্যকর্মী, স্বেচ্ছাসেবীসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনও পিছিয়ে নেই বড়দিনের আনন্দ উদ্যাপনে। শনিবার দেশটির রাজধানী কিয়েভের অপেরা থিয়েটার হলে আয়োজন করা হয় চমৎকার এক স্টেজ শোর।
অস্ট্রেলিয়ার বন্ডী সমুদ্রসৈকতে উদ্যাপিত হয় বড়দিনের ঐতিহ্যবাহী উৎসব। সূর্যের আলোয় পরিবার-পরিজন মিলে বড়দিনের এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করাটাই স্থানীয়দের রীতি।
বড়দিনের অন্যরকম এক উদ্যাপনে মেতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার বাসিন্দারা। কোকোয়া সমুদ্রসৈকতে সার্ফিং করে আলাদাভাবে আনন্দ উদ্যাপন করেন আগতরা।
বড়দিন উপলক্ষে বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজসহ বিশ্ব নেতারা।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.