আন্তর্জাতিক

পরিচয়পত্র চাইতেই জানা গেলো কনেপক্ষ ভুয়া!

বিয়ের নামে প্রতারণার খবরও প্রায়ই শিরোনাম হয়। এবার বিয়ে নিয়ে প্রতারণার আরও নতুন এক কৌশলের কথাও জানা গেলো। বরপক্ষকে ফাঁদে ফেলে টাকা নেয় ভুয়া কনপক্ষ চক্র।

বিয়ের জন্য ছেলের পরিবার যখন ঘটকের কাছে যায়, তখনই ফাঁদে পা দেয়া শুরু। তারপর কনপক্ষ কথাবার্তা শুরু করে নানা কায়দাও হাতিয়ে নিতো টাকা।

এক পর্যায়ে কনে নিয়ে হাজির হতো বিয়ের অনুষ্ঠানে। বিয়েও পড়া হতো। কিন্তু তারপরই সুযোগ বুঝে চম্পট দিতো কনেপক্ষ। ততক্ষণে বরপক্ষের পকেট থেকে বেরিয়ে গেছে অনেক টাকা।

আর এমন অভিনব ঘটনাই ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাবে। সেখানের ফিরোজপুরে এমনই এক চক্রের খোঁজ পায় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ধরা হয় চক্রের সাত সদস্যকে।

হরিয়ানার ফতেহবাদের বাসিন্দা দর্শনা দেবী বছর আঠাশের ছেলে রবি কুমারের বিয়ে দেবেন বলে মেয়ে খুঁজছিলেন। ওম প্রকাশ ও জসবিন্দর গিল নামের দুই ব্যক্তি পছন্দসই কনের খোঁজও দেন।

তাঁরা জানায়, দীপ নামের সুন্দরী পাত্রী পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের বাসিন্দা। আর এ ঘটকালির জন্য দর্শনা দেবী ওম ও জসবিন্দরকে ৩১ হাজার টাকাও দেন।

এরপর নিয়ম মেনে ৩০ আগস্ট ফিরোজপুরে ছিল আনুষ্ঠানিক বিয়ে। আইনি কাজ সারতে কনে ও তাঁর বাড়ির লোকের পরিচয়পত্র চাইতেই গোলমাল বেধে যায়।

মিত অরোরা ও তারা অরোরা নামের দু’টি পরিচয়পত্র দেয়া হয় বরপক্ষকে। যা দেখে পুরোহিত দাবি করেন, একদিন আগেই ওই নামে একজনকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি।

একথা শুনে চিন্তায় পড়ে যায় বরপক্ষ। সন্দেহ হয় তাদের। পুলিশে খবর দেয় তারা। ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে দর্শনা ও তার ছেলের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।

ভাগ্য ভালো পুলিশ এসে পড়েছিলো। না হলে টাকা পয়সা আর গয়না নিয়ে কেটে পরার কথা ছিলো কনপক্ষের। সেটি আর এই যাত্রায় হলো না ভুয়া কনেপক্ষের।

সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাবের পুলিশ। এর মধ্যে পাঁচ জনই নারী। চক্রটির কতগুলো প্রতারণা করেছে সেই তদন্তেও নেমেছে পুলিশ।

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker