শ্রীলঙ্কায় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীকে সরকারি সম্পত্তি লুটপাটে জড়িতদের বা ব্যক্তিগত ক্ষতির জন্য হামলাকারীদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১০ মে) শ্রীলঙ্কার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর সামরিক বাহিনীর মুখপাত্রের বরাতে এই তথ্য জানায়।
বর্তমানে দেশটিতে কারফিউ চলমান যা বুধবার পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে শ্রীলঙ্কার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীকে জরুরি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এই জরুরি ক্ষমতাবলে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যে কাউকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করতে পারবে।
মঙ্গলবারই (১০ মে) লঙ্কান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপেক্ষে পুলিশ ও সামরিক বাহিনীকে এই জরুরি ক্ষমতা প্রদান করেন যে ক্ষমতাবলে সামরিক বাহিনী কাউকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের আগে ২৪ ঘণ্টা নিজেদের হেফাজতে রাখতে পারবে।
এই সংক্রান্ত এক সরকারি এক আদেশে আরও বলা হয়, সেনাবাহিনী যেকোনো ব্যক্তির গাড়িসহ ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে তল্লাশি চালাতে পারবে।
অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে শ্রীলঙ্কায় চলমান আন্দোলনের মুখে সোমবার (৯ মে) পদত্যাগ করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপেক্ষে। মাহিন্দার পদত্যাগের সময়ও রাজাপেক্ষে সমর্থকদের সঙ্গে সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ চলছিল।
এদিকে, সোমবারের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ক্ষমতাসীন দলের এক এমপিসহ আট জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন দুই শতাধিক।
এছাড়াও বিক্ষোভকারীরা রাজাপেক্ষে পরিবারের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন মন্ত্রী, এমপি, সাবেক মন্ত্রী এবং রাজনীতিবিদদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছেন। আক্রমণ করেছেন মাহিন্দা রাজাপেক্ষের সরকারি বাসভবনেও। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনী গিয়ে তাকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে শ্রীলঙ্কার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিঙ্কোমালি শহরের এক নৌঘাঁটিতে মাহিন্দা রাজাপেক্ষে ও তার পরিবারের কিছু সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন।
জানা গেছে, ওই নৌ ঘাঁটিও ঘিরে রেখেছেন বিক্ষোভকারীরা।