মেয়ের ধর্ষককে আদালতের গেটের সামনে গুলি করে হত্যা করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বি এস এফ’র সাবেক এক জওয়ান। শুক্রবার ভারতের উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর দেওয়ানি আদালতের সামনে এই ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার গোরক্ষপুরের দেওয়ানি আদালতের প্রবেশপথে নিজের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র থেকে গুলি চালান বি এস এফ’র সাবেক ওই জওয়ান।
২০২০ সালে অপহরণের পর নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে দিলশাদের বিরুদ্ধে। ২০২১ সালের ১২ মার্চ হায়দরাবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এবং উদ্ধার করা হয় ভগবতের মেয়েকে। নিহত যুবক বিহারের মুজাফফরপুরের বাসিন্দা।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ১টার দিকে দেওয়ানি আদালতের প্রবেশপথে নিজের আইনজীবী শঙ্কর শরণ শুকলাকে ডাকেন ধর্ষণের মামলার আসামি দিলশাদ হুসাইন। আইনজীবী সেখানে পৌঁছানোর আগেই বিএসএফের অবসরপ্রাপ্ত জওয়ান ভগবৎ সিং নিজের লাইসেন্সকৃত পিস্তল দিয়ে দিলশাদের মাথায় গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন দিলশাদ। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
এ ঘটনার পর পুলিশ ভগবৎ এবং তার ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনও মামলা দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গোরক্ষপুরের জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার ভিপিন তাদা বলেছেন, গোরক্ষপুরের দেওয়ানি আদালতের প্রবেশপথে গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন এবং ঘাতককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হবে। ২০২০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি বি এস এফ’র সাবেক জওয়ান ভগবতের কিশোরী কন্যাকে দিলশাদ অপহরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় শিশু সুরক্ষা আইনে দিলশাদের বিরুদ্ধে অপহরণ এবং ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করেন ভগবৎ।
পরে গত বছরের ১২ মার্চ হায়দরাবাদ থেকে দিলশাদকে গ্রেপ্তার এবং কিশোরীকে উদ্ধার করে পুলিশ। দিলশাদকে কারাগারে পাঠানো হলেও দুই মাস আগে জামিনে মুক্তি পান তিনি।
উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক অখিল কুমার বলেছেন, অস্ত্রসহ কীভাবে বি এস এফ’র সাবেক জওয়ান দেওয়ানি আদালত চত্বরে প্রবেশ করলেন, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বি এস এফ’র ওই জওয়ানকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।