কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী মোছা: শান্তা আক্তার ইভটিজিং এর শিকার হয়ে আত্নহত্যা করায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। টানা দেড় ঘন্টা বনগ্রাম আনন্দ কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রবেশপথ ঘেরাও ও রাস্তা বন্ধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। এসময় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায় বনগ্রামবাসী।
সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নে এলাকাবাসীর আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কুড়িয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে বের হয়ে এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজে এসে শেষ হয়। সেখানে আন্দোলনকারীরা সড়ক অবরোধ করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে একই দিনে সকালে মাইকিংয়ে প্রচার করে এলাকায় বিক্ষোভের ঘোষণা দেয় স্থানীয়রা। পরে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি তুলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে একত্র হওয়ার আহ্বান জানায় এলাকাবাসী।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন শান্তা আক্তারের মা সাহেনা আক্তার, আপন খালা রুনা আক্তার, আনন্দ কিশোর স্কুল এন্ড কলেজ সাবেক শিক্ষার্থী স্মৃতি আক্তার, দশম শ্রেণীতে পড়ুয়া শিক্ষার্থী পপি আক্তার, রীনা আক্তার লিজাসহ অন্যান্যরা।
বিক্ষোভে আন্দোলনকারীরা বলেন, নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া শান্তা আক্তারকে ইভটিজিং করে তার ওপর অন্যায় ও চরম অত্যাচার করে বখাটে আরমান, ইমন ও আকাশ। পরে ইভটিজিংয়ের দৃশ্য ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও দেয়া হয়। পরবর্তীতে সামাজিকভাবে বিচার না পেয়ে আত্মহত্যা করেন শান্তনা। এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দোষীদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।