বিশ্বকাপ সুপার লিগে প্রথম দল হিসেবে একশ পয়েন্ট অর্জনের গৌরব অর্জন করলো বাংলাদেশ। এদিন ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত প্রদর্শনে আফগানিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে সুপার লিগে সেঞ্চুরির পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষস্থান দখল করলো টাইগাররা। এদিকে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতলো লিটন-মুশফিকরা।
শুক্রবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দ্বিতীয় ওয়ান ডে’তে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের সেঞ্চুরি ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৩০৬ রানের বড়ো সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ দল। জবাবে ৪৫.১ ওভারে ২১৮ রানেই অলআউট হয়ে গেছে আফগানরা। ৮৮ রানের বড়ো জয় পায় টিম টাইগার্স।
এ জয়ের পর সুপার লিগে ১৪ ম্যাচে ১০ জয়ে ১০০ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে উঠে গেলো তামিম ইকবালের দল। দুই নম্বরে থাকা ইংল্যান্ডের ঝুলিতে রয়েছে ১৫ ম্যাচে ৯৫ পয়েন্ট। সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতলে ইংলিশদের চেয়ে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশের করা ৩০৬ রানের জবাবে খেলতে নেমে পাওয়ার প্লে’র ১০ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে আফগানিস্তান।
আফগান শিবিরে ফিফটির দেখা পান মাত্র দুইজন ব্যাটার। তাদের মধ্যে রহমত শাহ ৫২ এবং নাজিবুল্লা জাদরান করেন ৫৪ রান। এরপর মোহাম্মদ নবী ও রশীদ খান কিছুটা মারমুখী হলেও স্থায়ী হয়নি তাদের ইনিংস।
আজ বল হাতে দুর্দান্ত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। দশ ওভারের স্পেলে ছিল দুইটি মেইডেন, মাত্র ৩১ রান খরচায় তিনি ফিরিয়ে দেন আফগানদের দুই হাফসেঞ্চুরিয়ান রহমত ও নাজিবকে। এছাড়া সাকিব ৩৮ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট। বাকি পাঁচ উইকেটে ভাগ বসিয়েছেন মোস্তাফিজ, শরিফুল, মেহেদি মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ও আফিফ।
ম্যাচের শুরুতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তখন ২৬০ রান করলেই জয়ের জন্য যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছিলেন তামিম।
দলকে বিশাল সংগ্রহ এনে দেওয়ার পথে তৃতীয় উইকেটে ২০২ রানের জুটি গড়েছেন মুশফিক ও লিটন। যা তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি রেকর্ড। এছাড়া সবমিলিয়ে যেকোনো উইকেটে পঞ্চম সর্বোচ্চ রানের জুটি এটি।
লিটন-মুশফিকের কল্যাণে এ নিয়েই পঞ্চমবারই কোনো উইকেটে ২০০ রানের জুটি দেখলো বাংলাদেশ।
সবশেষ পাঁচ ইনিংসের মধ্যে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া লিটন খেলেছেন ১২৬ বলে ১৩৬ রানের ইনিংস। যেখানে ছিল ১৬ চার ও দুইটি বিশাল ছয়ের মার। অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ৪১তম ফিফটি করা মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে ৯ চারের মারে ৯৩ বলে ৮৬ রান।
৪৭তম ওভারে পেসার ফরিদ আহমেদের দ্বিতীয় ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে থার্ডম্যান ফারুকির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। আউট হওয়ার আগে ৯ বাউন্ডারিতে ৯৩ বলে ৮৬ রান করেন পঞ্চপাণ্ডবের অন্যতম তারকা।
প্লেয়ার অব দ্য মাচ নির্বাচিত হন সেঞ্চুরিয়ান লিটন দাস।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.