সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, হত্যার রাজনীতি আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে না। প্রকাশ্যে জঙ্গিবাদী তৎপরতা চালিয়েছে বিএনপি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে খুনের রাজনীতি বন্ধ করেছে। আওয়ামী লীগ সাংবিধানিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘১৫ বছর স্থিতিশীল সরকার ছিল বলে দেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। খুনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল বন্ধ হয়েছে। গণতন্ত্র স্থিতিশীলতা ছিল বলে এমন উন্নয়ন হয়েছে।
দেশবিরোধী অপশক্তি লাগাতারভাবে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। জনগণের ভোটাধিকার বঞ্চিত করতে নির্বাচনবিরোধী কাজ করছে তারা। তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন, নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
আমাদের নেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ববিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে। সে জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মাধ্যমে গণতন্ত্র হত্যার সূচনা হয় উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ষড়যন্ত্রের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মোশতাক-জিয়া। বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র দেশের পাশাপাশি বিদেশেও আছে।
সরকার হটানোর ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি অপশক্তি ষড়যন্ত্র করছে। আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যে দলটি স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে। তার আগে খালেদা জিয়ার অধীনে ছিল নির্বাচন কমিশন। গুণ্ডা দিয়ে নির্বাচন করা হতো। ভুয়া ভোটার দিয়ে ভুয়া নির্বাচন করেছেন তিনি। আওয়ামী লীগই দেশের একমাত্র দল, যেটি নির্বাচন ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ করেছে।’
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস। দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ট করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।’
এ সময় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, কাজী জাফরউল্লাহ, ড. আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ উপস্থিত ছিলেন।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts sent to your email.