মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার পর বুধবার প্রথমবার নির্বাচনী এলাকায় আসেন সাকিব আল হাসান। মাগুরায় পৌঁছে তিনি একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। তবে সাকিব দুপুরে জেলার দলীয় কার্যালয়ে সবাইকে নির্বাচন আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
দলের নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আছাদুজ্জামান স্টেডিয়ামে মাগুরাবাসীর ব্যানারে আয়োজিত এক নাগরিক গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন সাকিব। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নিজের জন্য এবং আওয়ামী লীগের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। এ জন্য স্টেডিয়ামে একটি মঞ্চও তৈরি করা হয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি। সে হিসাবে ১৫ ডিসেম্বরের আগে কেউই নির্বাচনী প্রচার চালাতে পারবেন না।
দলীয় কর্মীরা বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বিশাল গাড়ির বহর নিয়ে ঢাকা থেকে সড়কপথে মাগুরায় আসেন সাকিব আল হাসান। মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগের এই প্রার্থীকে অভ্যর্থনা জানাতে সকাল থেকে মাগুরা ও ফরিদপুরের সীমান্ত গড়াই সেতু এলাকায় অবস্থান নেন হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থক। কামারখালীর গড়াই সেতু থেকে মাগুরা শহরে ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সাকিবের প্রায় দুই ঘণ্টা সময় লেগে যায়। এ সময় তাঁর গাড়িবহরে কয়েক শ মোটরসাইকেল ও চার চাকার গাড়ি দেখা যায়। এতে ওয়াপদা বাজার ও কামারখালী সেতু এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। দুপুরে সাকিবের গাড়িবহর যখন মাগুরা শহরে প্রবেশ করে, তখন সেখানে যানজটের সৃষ্টি হয়।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালা অনুসারে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তাদের মনোনীত প্রার্থী বা তাঁদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি কোনো ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল বা অন্য কোনো যান্ত্রিক যানবাহন নিয়ে মিছিল বের করতে পারবেন না। মহড়াও করা যাবে না।