দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, করোনায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে বিএনপি মহামারির প্রথম দিকে ফটোসেশন করেছে, এখন দ্বিতীয় ঢেউয়ে দুরবিন দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আর অনেক এনজিও দশজনকে কিছু দিয়ে ছবি তুলে সবাইকে দেখায়, বিদেশে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছেও পাঠায়। আর তাদের কেউ কেউ টক শোতে সরকারের সমালোচনাই করে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং এসব সংগঠন, যারা করোনার আগে এবং করোনাকালে সরকারের সমালোচনায় ব্যস্ত, তাদের কাউকে এখন আর মানুষের পাশে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কিন্তু তাদের সমালোচনা বন্ধ হয়নি।
মানুষের কল্যাণকে রাজনীতির ব্রত হিসেবে বর্ণনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, জনগণের পাশে থাকতে গিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচজন নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, বেশির ভাগ সদস্যই আক্রান্ত হয়েছেন, অনেকে একাধিকবার। সারা দেশে প্রায় এক হাজার নেতা–কর্মী করোনায় মারা গেছেন, এরপরও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা মানুষের পাশে আছেন। দলের পক্ষ থেকে সারা দেশে লাখ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও দুই কোটি পরিবারের কাছে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
দেশের অন্য কোনো রাজনৈতিক দল মানুষের পাশে থাকেনি। অপর দিকে বিএনপি নেতারা এখন শুধু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আর তাঁকে বিদেশ পাঠানো নিয়ে কথা বলছে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে তাদের কোনো চিন্তা আছে বলে মনে হয় না। এই মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে অনেক রাজনৈতিক দলের শেখা উচিত।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, নীলফামারী, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলার হাসপাতালের জন্য হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ও অন্যান্য করোনা সুরক্ষাসামগ্রী তাদের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেন অতিথিরা।
এরপরই তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কোরবানির পশুর ডিজিটাল হাটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন। করোনাকালে এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।