জাতীয়

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ২৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন

ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’-এর প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝোড়ো বাতাসে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলো।

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আজ রবিবার (২৬ মে) রাতে বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৪টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২৫ লাখ ৬৯ হাজার ৫০০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোর বিদ্যুৎকর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় শেষ হওয়ার পরপরই যাতে দ্রুত বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায় সেই লক্ষ্যে প্রতিটি সমিতির কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎহীন এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে পটুয়াখালী, বাগেরহাট, ভোলা, পিরোজপুর, সাতক্ষীরা, ঝালকাঠি জেলা। পটুয়াখালীতে ছয় লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। বাগেরহাটে চার লাখ ৫০ হাজার এবং ভোলায় চার লাখ ২৫ হাজার গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।

এবং পিরোজপুরে ৩ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।’

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক্রমে বিশেষ কার্যক্রম গ্রহণ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি খনিজ ও সম্পদ মন্ত্রণালয়। গতকাল রবিবার মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে কার্যক্রমগুলো জানানো হয়।

বাগেরহাটের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার সুশান্ত রায় জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

ইতিমধ্যে সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাইকে স্ট্যান্ডবাই থাকতে বলা হয়েছে। এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যাতে তা ঠিক করা যায়, এ জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে।

সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা জুম মিটিং করে প্রতিটি অফিসে প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছি। আমরা সাধারণত তিন ধরনের প্রস্তুতি নিই, ঝড় আসার আগে ও ঝড়ের সময় এবং ঝড়-পরবর্তী সময়ে করণীয়।

ঝড় আসার আগে আমরা মোবাইলে চার্জ দিয়ে রাখতে বলি সবাইকে, মেরামতের জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল সংগ্রহ করে রাখা হয়, যারা স্ট্যান্ডবাই থাকবেন, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে ঝড়ের সময় যাতে কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট না হয়, সে জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমরা চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে রাখছি। যাতে তাদের এলাকায় বিদ্যুতের তারের ওপরে গাছ পড়লে, তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।’

Author


Discover more from MIssion 90 News

Subscribe to get the latest posts to your email.

সম্পর্কিত সংবাদ

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

এছাড়াও পরীক্ষা করুন
Close
Back to top button

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker