বাংলা গানের যুবরাজ আসিফ আকবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব তিনি। বরাবরই ব্যক্তিজীবন ও বিভিন্ন ইস্যুতে খোলামেলা আলোচনা করেন তিনি। এবার মিথ্যাবাদী মুরুব্বিদের সাবধান হতে আহ্বান জানালেন এ গায়ক।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আসিফ লিখেছেন, ৯ মাস বয়সী আইদাহ্ এখন বাবাকে চিনে গেছে। একটু কাশি দিলেও অজানা উদ্বিগ্নতা নিয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকে। ভাড়া বাসায় থাকি, ফ্ল্যাট পাল্টাতে হয়েছে বাড়িওয়ালার নোটিশে। বাসা বদলানো ইস্যুর ধুলোবালির পয়জনে বেগমেরও কাশি হয়ে গেছে। আইদাহ্ কাশি শুনলেই সন্দিগ্ধ হয়ে যায়। আজকালকার বাচ্চাদের ব্রেন কেমন যেন প্রোগ্রামিং করা, খুব সেনসিটিভ।
তিনি আরও লেখেন, লিজেন্ড সলিল চৌধুরীর সৃষ্টি শিশুতোষ গান-বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে, আয়না যা না গান শুনিয়ে। অন্তরা চৌধুরীর গাওয়া এই গান শৈশবে শুনেছি। আমার মেয়ে এই গানে ব্যাপক আসক্ত। বেগমের শৈশবের প্রিয় গানটা এখন মেয়ের মধ্যে সংক্রমিত। মেয়েকে হ্যাপি রাখার জন্য গানটা আমিও তুলেছি। আমি গাইলে আইদাহ খুব খুশি হয়। গানের মধ্যে যে পাখির ডাক আর মিউজিক আছে- সেটা তো আমি দিতে পারি না, এটা ওর অপছন্দ। লাইভ অডিওতে আইদাহ্ বিরক্ত হয়ে যায়, ছোট্ট হাতে থাবা মারে মুখ বরাবর। বুঝে গেছি, গোঁজামিলের দিন শেষ। কাস্টম মেইড জেনারেশনকে জাপানি মূলা দেখানোর সুযোগ নেই।
গায়ক যোগ করেন, দিন কয়েক আগের কথা। আইদাহ্কে ঘুম পাড়ালাম ১০ মিনিটও হয়নি! বড় ছেলে শাফকাতের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলছি টরন্টোতে, এখানে ভোর ওখানে সন্ধ্যা। আইদাহ্ বড় ভাইয়ের কণ্ঠ শুনেই ঘুম থেকে উঠে গেলো, ভাইয়ের সাথে দিব্যি হা হা হি হি করলো। আমিও সাবধান হয়ে গেলাম, বাচ্চাদের সঙ্গে ভুলভাল কিছু বলা যাবে না। বাংলাদেশের সমাজ, রাজনীতি, পরিবারে- সর্বত্র মিথ্যাময়তা এখন সর্বগ্রাসী শিল্প। এসব মিথ্যায় বিরক্ত হয়ে শিশুরা থাবা দেওয়া শুরু করেছে। চলুন নিয়মিত মিথ্যাবাদী মুরুব্বিরা সাবধান হয়ে যাই। সতর্কতার প্রথম ধাপ হিসেবে আমি এখন শুদ্ধভাবে শিখছি- বুলবুল পাখি ময়না টিয়ে, আয় না যা না গান শুনিয়ে…। ভালোবাসা অবিরাম।
Discover more from MIssion 90 News
Subscribe to get the latest posts to your email.