বিনোদন

টাকার বিনিময়ে আমাকে কেনার মতো লোক এখনও জন্মায়নি: জয় চৌধুরী

এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ২০৫ ভোট পেয়ে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক জয় চৌধুরী। নির্বাচনে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ প্রার্থী ছিলেন তিনি। এর আগের নির্বাচনেও বিপুল ভোট পেয়ে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন এই নায়ক। সম্প্রতি জয়ের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ এনেছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।

Mission 90
চিত্রনায়িকা নিপুণ

নিপুণের অভিযোগ প্রসঙ্গে আরটিভি নিউজের পক্ষ থেকে চিত্রনায়ক জয় চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সেই অভিযোগকে মনগড়া ও ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। পাশাপাশি সিনিয়র একজন শিল্পীর মুখে এমন অভিযোগের চরম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তরুণ প্রজন্মের আলোচিত এই নায়ক।

Mission 90

জয় চৌধুরী আরটিভি নিউজকে জানান, ‘উনি (নিপুণ) যে অভিযোগ করেছেন, সেটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মনগড়া। কারণ, এসব কাজ যে কন্টাক্ট করে করা যায়, সে সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল না। আমার যারা দর্শক আছেন কিংবা আমার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে যারা আছেন তারা আমার ব্যক্তিগত কোনো ছবিতে বাজে মন্তব্য করেন না। কিন্তু আমি যখন শিল্পী সমিতিকে নিয়ে পোস্ট করি, তখন সেখানে বেশ কিছু আইডি থেকে প্রচুর নেগেটিভ কমেন্টস করা হয়। এমনকি প্রত্যেকটি আইডি লক থাকে। এটা কারা করে তাহলে?’

তিনি আরও বলেন, ‘এটা শুধু আমার সঙ্গে না, আমাদের প্যানেল থেকে যে ২১ জন দাঁড়িয়েছিলাম তাদের সবার ক্ষেত্রেই করা হয়েছে এবং সেই একই আইডিগুলো থেকে করা হয়েছে। আইডিগুলো আমাদের ফ্রেন্ডলিস্টেও নেই। উনি (নিপুণ) কীভাবে, কী বুঝে এই কথাগুলো বললো আমি জানিনা। উনার এই কথাগুলোর জন্য আমি চরম নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

কাজের ব্যস্ততার উল্লেখ করে নায়ক জানান, ‘গত ৪ তারিখ থেকে আমার নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নেই। আমার মাথায় শুধু কাজ, এসব ফালতু বিষয়ে ভাবার সময় নেই। আর টাকার বিনিময়ে এমন নোংরা কাজ করার প্রশ্নই আসে না। ভালোবাসার বিনিময়ে জীবন দিয়ে দিবো, তবুও এসব নোংরা কাজে জড়াবো না। টাকার বিনিময়ে আমাকে কেনার মতো লোক পৃথিবীতে এখনো জন্মায়নি।’

Mission 90

আক্ষেপের সুরে জয় চৌধুরী বলেন, ‘যদিও আমি সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে কথা বলতে চাই না, কারণ এটি আদালতের বিচারাধীন আছে। উনি (নিপুণ) নিজেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাধারণ সম্পাদক ভাবছেন, আমি কিন্তু একজন নির্বাচিত আন্তর্জাতিক সম্পাদক। এটা উনার একটু ভাবতে হবে। আমাকে নিয়ে উনি এ ধরনের উক্তি না করে, সরাসরি আমাকে ডেকে বললেই পারত। মানুষের সামনে হেয় না করে, তিনি আমাকেই বলতে পারতেন, জয় এরকম ঘটনা ঘটছে। আমি যদি সে বিষয়ে জানতাম, তাহলে বলতাম আর না জানলে বলতাম আপু আমি এই বিষয়ে জানি না। আপনি বিষয়টা আরও খতিয়ে দেখেন। আমার মনে হয় এসব অন্য কেউ করছে।’

এই নায়ক যোগ করেন, ‘আমার সঙ্গে কখনও কোনো যোগাযোগ করেনি। এসব বিষয়ে আমাকে কিছু বলেওনি। আমি তো ক্যাবিনেটেরই একজন সদস্য, আমাকে সরাসরি জিজ্ঞাসা করলেই পারত। অথবা সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ করতে পারত। সবকিছুর তো একটা সিস্টেম আছে। উনি (নিপুণ) যদি নিজেকে সাধারণ সম্পাদক মনে করে থাকেন, তাহলে উনি কীভাবে ক্যাবিনেটের নির্বাচিত একজনকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন? এটা তো কোনো কথা হতে পারে না। আমাকে না ডেকে ভিডিওতে এসব কথা বলা উনার মতো সিনিয়র শিল্পীকে মানায় না।’

Mission 90

জয় চৌধুরীর ভাষ্য, ‘আমি আমার প্রয়োজন মতো একটা স্ক্রিপ্ট সাজালাম, ভিডিওতে প্রকাশ করলাম, আরেকজনকে হেয় প্রতিপন্ন করলাম- একজন সিনিয়রের কাছে কখনোই এমনটা আশা করা যায় না।’

শিল্পী সমিতির নতুন কমিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই সমিতির ভবিষ্যত দেখছি না। যেখানে সমিতির একজন নির্বাচিত ক্যাবিনেট সদস্যকেই অপমান করা হচ্ছে, সেখানে আমি আসলেই জানি না সমিতির ভবিষ্যত কী?’

Author

0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
0 Comments
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments

সম্পর্কিত সংবাদ

Back to top button
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker